নারায়ণগঞ্জ মেইল: নারায়ণগঞ্জের চাষাঢ়ায় মাদক ব্যবসায় বাঁধা দেওয়ায় মান্নান হাওলাদার নামে এক হোটেল ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে জখম করেছে সন্ত্রাসীরা। গত শনিবার ২৩ জুলাই চাষাঢ়া বালুরমাঠ এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে। সন্ত্রাসীদের চাপাতির কোপে ব্যবসায়ী মান্নানের মাথায় ৭টি সেলাই লাগে ্এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে নীলাফুলা জখম হয়। এ বিষয়ে ভুক্তভোগী মান্নান হাওলাদার বাদী হয়ে নারায়য়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, আমি নিম্নস্বাক্ষরকারী মোঃ মান্নান হাওলাদার (৫৫), পিতা- মৃত লাল মিয়া, সাং- ডন চেম্বার, থানা ও জেলা নারায়ণগঞ্জ থানায় হাজির হইয়া এই মর্মে বিবাদী ১। নাদিম (৪৪), পিতা- বদু মিয়া, ভাই- আদিল, ২। সাদ্দাম (১৯), পিতা- নাদিম, উভয় সাং- গলাচিপা, থানা ও জেলা নারায়ণগঞ্জগণের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করিতেছি যে, আমি দীর্ঘদিন যাবৎ অত্র থানাধীন চাষাড়া বালুর মাঠ মর্ডান ডায়াগনস্টিক সেন্টারের পাশে ফুটপাতে ফুটকোর্টের ব্যবসা পরিচালনা করিয়া আসিতেছি। উল্লেখিত ১নং বিবাদী নাদিম আমার পার্শ্ববর্তী দোকানদার উক্ত স্থানে চা কফির ব্যবসা পরিচালনা করে। বিবাদী উক্ত চায়ের ব্যবসার পাশাপাশি আরালে নানা ধরনের অবৈধ মাদকের কারবারিও করে থাকে। আমি উক্ত বিষয়ে অবগত হইয়া পর্যায়ক্রমে কয়েকবার বিবাদীকে মাদকের কারবারি করিতে বাধা নিষেধ করায় বিবাদী আমাকে নানা ধরনের হুমকি ধামকি প্রদান করেন। কিছুদিন পূর্বে বিবাদী মাদক সহ স্থানীয় লোকজনের নিকট হাতে ধরা পরিলে স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ বিবাদীকে সকল প্রকার অবৈধ কর্মকান্ড হইতে বিরত থাকার নির্দেশ প্রদান করায় বিবাদী ক্ষিপ্ত হইয়া প্রায়ই আমাকে ও মোবাইল ফোনে আমার পরিবারের সদস্যদের নানা ধরনের হুমকি ধামকি প্রদান করিয়া আসিতেছে। সেই সংক্রান্তে আমি অদ্য ২৩/০৭/২০২২ইং তারিখ দুপুর অনুমান ১২:৩০ ঘটিকার সময় আমি আমার ব্যবসায়ীক ফুটপাতের দোকানে অবস্থানকালে উল্লেখিত বিবাদীগণ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হইয়া চাষাড়া বালুর মাঠস্থ আমার দোকানে উপস্থিত হইয়া ১নং বিবাদী আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করিতে শুরু করে। আমি গালিগালাজ করিতে বাধা নিষেধ করায় ১নং বিবাদীর নির্দেশে তাহার ছেলে ২নং বিবাদী অতর্কিত ভাবে আমাকে এলোপাথারী মারধর করতে শুরু করে এবং মারধরের একপর্যায় ১নং বিবাদীর হাতে থাকা ধারালো চাপাতি দিয়া আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথায় কোপ দিয়ে মারাত্মক কাটা ও রক্তাক্ত জখম করে। বিবাদীর চাপাতির আঘাতে আমার মাথার ক্ষত হইয়া রক্তক্ষরণ শুরু হইলে আমি সাথে সাথে পাকা রাস্তার উপর পরে গেলে বিবাদীগণ আমাকে এলোপাথারী পাখি ঘুশি মারিয়া শরীরের বিভিন্নস্থানে মারাত্মক নীলা ফুলা জখম করে। আমার ডাক চিৎকারে আশে পাশের লোকজন আগাইয়া আসিলে বিবাদীগণ আমাকে নানা ধরনের হুমকি ধামকি প্রদান করিয়া উক্ত বিষয়ে বারাবারি করিলে ভবিষ্যতে প্রাণে মারিয়া ফেলার হুমকি প্রদর্শন করিয়া ঘটনাস্থল হইতে চলিয়া যায়। পরবর্তীতে স্থানীয় লোকজনের সহযোগীতায় ভিক্টোরিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা গ্রহণ করি এবং আমার মাথার ক্ষতস্থানে ০৭(সাত)টি সেলাই দিতে হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযোগের তদন্তকারী কর্মকর্তা সদর মডেল থানার উপপরিদর্শক জামিল নারায়ণগঞ্জ মেইলকে বলেন, অভিযোগের তদন্ত চলছে। আমি ইতিমধ্যে ঘটনাস্থলে গিয়েছি এবং সেখানকার লোকজনের সাথে কথা বলেছি। এ ঘটনায় সুষ্ঠ তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।