নারায়ণগঞ্জ মেইল: সমাজ জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল রাজনীতি। মানুষ যেদিন থেকে রাষ্ট্রব্যবস্থা গড়ে তুলেছে, সেদিন থেকে তার জীবনধারার অপরিহার্য বিষয় হয়ে উঠেছে রাজনীতি। একজন রাজনীতিকের সর্বশেষ স্বপ্ন হল জনপ্রতিনিধি হওয়া। নারায়ণগঞ্জের রাজনীতিতে সেই স্বপ্ন বরাবরই অপূর্ণ থাকছে শীর্ষ নেতাদের।
বার বার চেষ্টা করেও জনপ্রতিনিধি হওয়ার স্বপ্্ন অপূর্ণ থেকে যাচ্ছে নারায়ণগঞ্জ আওয়ামীলীগের শীর্ষ পাঁচ নেতারা। এরা হলেন জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুল হাই, সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত শহিদ বাদল, মহানগর আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি চন্দন শীল, সাধারণ সম্পাদক খোকন সাহা ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহ নিজাম।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ-১ আসনে দলীয় মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করেছিলেন আব্দুল হাই। তবে গোলাম দস্তগীর গাজীকে দলীয় প্রতীক দেয়ায় তিনি নির্বাচনে অংশগ্রহন করতে পারেনি। এবার জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করার প্রস্তুতি নিলেও সরকার জেলা পরিষদে প্রশাসক নিয়োগ দিয়েছে। তাই জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হওয়ার স্বপ্নও তার অপূর্ণ রয়ে গেছে।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে দলীয় মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করেছিলেন আবু হাসনাত শহিদ বাদল। কিন্তু মহাজোটের প্রার্থী থাকায় নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে নৌকার প্রার্থী দেয়া হয়নি। তাই বাদলও নির্বাচনে অংশ নিতে পারেনি। এমনকি আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাদল মনোনয়ন পাবে কিনা তা নিয়েও অনিশ্চয়ত রয়েছে।
নারায়ণগঞ্জ আওয়ামীলীগের ত্যাগী নেতাদের তালিকায় শীর্ষে রয়েছেন চন্দন শীল। রাজনীতি করে নিজের দুই পা হারিয়েছেন। গতবার জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে দলীয় মনোনয়নের জন্য চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছেন। আর এবার জেলা পরিষদে আনোয়ার হোসেনকেই প্রশাসক নিয়োগ দিয়েছে।
গত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে ও এবার সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন পেতে বেশ তৎপর ছিলেন খোকন সাহা। কিন্তু দল থেকে তাকে মনোনয়ন দেয়নি। সিটি নির্বাচনে নৌকা প্রতীক নিয়ে বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়েছেন সেলিনা হায়াত আইভী।
সদর উপজেলার চেয়ারম্যান পদে শাহ নিজাম নির্বাচন করবেন এই গুঞ্জন দীর্ঘদিন ধরেই শোনা যাচ্ছে। কিন্তু মামলা জটিলতার কারণে দীর্ঘ বছর ধরে সদও উপজেলা পরিষদের নির্বাচন হচ্ছে না। তাই জেলা পরিষদেও চেয়ারম্যান হওয়ার স্বপ্ন অপূর্ণ থেকে যাচ্ছে শাহ নিজামের। তাই প্রশ্ন উঠেছে, নারায়ণগঞ্জ আওয়ামীলীগের শীর্ষ এই পাঁচ নেতা কি কখনোই জনপ্রতিনিধি হতে পারবেন না।