নারায়ণগঞ্জ মেইল: আগামী ডিসেম্বর মাসে সরকারী দল বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় সম্মেলন। এ সম্মেলনের পূর্বে প্রতিটি জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটিগুলো পুনর্গঠনের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে অনেক আগেই। ইতমধ্যেই দেশের বিভিন্ন স্থানে ধারাবহিকভাবে এ কার্যক্রম চলমান রয়েছে। আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে দলকে সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী করতে এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামীলীগের শীর্ষ নেতারা। তবে মেয়াদোত্তীর্ণ নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর আওয়ামীলীগের কমিটি গঠনে সম্মেলন আয়োজনের কোনো প্রস্তুতি নেই বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুল হাইয়ের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি নারায়ণগঞ্জ মেইলকে জানান, জেলা আওয়ামীলীগের মেয়াদ শেষ হলেও কমিটি পুনর্গঠনে কেন্দ্র থেকে এখনো পর্যন্ত আমরা কোন দিক নির্দেশনা পাইনি। কেন্দ্র থেকে মেসেজ আসলে আমরা কমিটি পুনর্গঠনের জন্য কাজ করবো।
অভিযোগ রয়েছে, দীর্ঘদিন পদ-পদবী আকড়ে রেখে নতুন নেতৃত্ব সৃষ্টিতে বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়েছে স্থানীয় আওয়ামীলীগের শীর্ষ নেতারা। বিভিন্ন অজুহাতে মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি পুনর্গঠনে অনীহা দেখাচ্ছেন শীর্ষ নেতারা। বিভিন্ন সময় কমিটি পুনর্গঠনের গুঞ্জন উঠলেও রহস্যজনক কারণে সেই গুঞ্জন বাস্তবে রূপ নিতে পারেনি।
জানাগেছে, ২০১৩ সালের ১১ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ঘোষণা করা হয় আনোয়ার হোসেনকে ও সাধারণ সম্পাদক করা হয় অ্যাডভোকেট খোকন সাহাকে। ৭ দিনের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করে কেন্দ্রে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন পধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
দীর্ঘ দুই বছর তিন মাস পর ২০১৫ সালের ২৬ নভেম্বর নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের ৭১ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করেছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
পাঁচ বছর আগে মহানগর আওয়ামীলীগের কমিটির মেয়াদ উর্ত্তীণ হলেও নতুন কমিটি গঠনের উদ্যোগ না নেয়া নতুন নেতৃত্বও সৃষ্টি হচ্ছে না।
অপরদিকে,২০১৬ সালের ৯ অক্টোবর আব্দুল হাইকে সভাপতি, নাসিক মেয়র ডা. সেলিনা হায়াত আইভীকে সহ-সভাপতি ও জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত শহীদ বাদল ওরফে ভিপি বাদলকে সাধারণ সম্পাদক করে জেলা আওয়ামীলীগের আংশিক কমিটি ঘোষনা করা হয়েছিল। ১৩ মাস পর ২০১৭ সালের ২৫ নভেম্বর আওয়ামীলীগের সভাপতি শেখ হাসিনা ৬টি পদ শূন্য রেখে ৭৪ সদস্য বিশিষ্ট জেলা আওয়ামীলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটির অনুমোদন দিযেছিলেন।
২০২০ সালের নভেম্বর মাসে জেলা আওয়ামীলীগের কমিটির মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে। পদধারী নেতাদের পুনবহাল থাকলে নতুন কমিটি গঠনে বাধা সৃষ্টি করছেন বলে মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মীদেও অভিযোগ।