নারায়ণগঞ্জ মেইল: বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪১তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে দিনব্যাপী মিলাদ দোয়া ও দুস্থ্যদের মাঝে রান্না করা খাবার বিতরণসহ নানা কর্মসূচি পালন করেছেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহ সভাপতি এডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান। সোমবার (৩০ মে) সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জের সদর বন্দর ও সিদ্ধিরগঞ্জের বিভিন্ন স্থানে নেতাকর্মীদের বহর নিয়ে ঘুরে ঘুরে তিনি এসব কর্মসূচিতে অংশ নেন।
এ সময় তার সাথে বিভিন্ন কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সহ সভাপতি ও মহানগর কৃষকদলের আহবায়ক মনির হোসেন খান, কেন্দ্রীয় মৎস্যজীবী দলের যুগ্ম আহবায়ক সাইদুল ইসলাম টুলু, জেলা মৎস্যজীবী দলের আহবায়ক এডভোকেট এইচএম আনোয়ার প্রধান, জেলা যুবদলের সাবেক সহ সভাপতি পারভেজ মল্লিক, মহানগর ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক ইব্রাহীম আহমেদ বাবুু প্রমূখ।
এ সময় নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহ সভাপতি এডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান বলেন, স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে দেশ যখন এক চরম ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছিলো, দেশ থেকে গণতন্ত্র হত্যা করে এক দলীয় বাকশালী শাসন কায়েম করা হয়েছিলো, তখন সিপাহী বিপ্লবের মাধ্যমে দেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছিলেন জিয়াউর রহমান। কিন্তু ১৯৮১ সালের ৩০ মে তারিখে চট্রগ্রাম সার্কিট হাউজে দেশী বিদেশী চক্রান্তে হত্যা করা হয় মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের বীর সিপাহসালার জিয়াউর রহমানকে।
তিনি বলেন, বর্তমান স্বৈরাচারী সরকার সেই বাকশালী কায়দায় আবারো দেশ থেকে গণতন্ত্র হত্যা করে একদলীয় শাসন কায়েম করতে চাইছে। কিন্তু বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সহধর্মীনী বিএনপির বর্তমান চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া দেশের মানুষের হারিয়ে যাওয়া গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে আপোষহীন সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছেন। আমরা বেগম খাালেদা জিয়া ও তার যোগ্য উত্তরসূরী তারেক রহমানের নেতৃত্বে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলে এই স্বৈরাচারী সরকারকে ক্ষমতা থেকে উৎখাত করবো। সে লক্ষ্যে আরেকবার যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পরতে হবে আর সে যুদ্ধ হেেব গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার যুদ্ধ। সে যুদ্ধে শরিক হওয়ার জন্যে প্রতিটি জিয়ার সৈনিককে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলন সংগ্রামে অংশ নেওয়ার আহবান জানাচ্ছি। আজকের দিনে এই হোক আমাদের দৃপ্ত শপথ।
