নারায়ণগঞ্জ মেইল: নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদলের তিন সদস্যের কমিটি নিয়ে সমালোচনার ঝড় যেনো থামছেই না। রাজপথের দুুই নিস্ক্রিয় নেতা গোলাম ফারুক খোকন আর ভিপি কবিরকে মেনে নিতে পারছে না তৃণমূলের নেতাকর্মীরা। তাদের মতে নারায়ণগঞ্জ বিএনপির দুই কিং মেকারের কারিশমায় খোকন-কবীর যুবদলের নেতৃত্ব পেয়েছেন।
অনুসন্ধানী সূত্রে জানা গেছে, জেলা যুবদলের কমিটি নিয়ন্ত্রণে রাখতে নারায়ণগঞ্জ বিএনপিতে কমিটি বাণিজ্যের হোতা নজরুল ইসলাম আজাদ ভিপি কবীরকে জেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক করেছেন।
অপরদিকে নারায়ণগঞ্জ বিএনপির আরেক সুবিধাবাদী নেতা মোস্তাফিজুর রহমান ভূইয়া দিপু নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক খোকনকে নতুন কমিটির আহবায়ক বানিয়ে যুবদলের কমিটিটা নিজের নিয়ন্ত্রণে রাখার রেখেছেন।
তৃণমূল সূত্রে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, যুবদলে নিজ আধিপত্য তৈরী করতে অখ্যাত ভিপি কবীরকে নেতৃত্বে আনার নেপথ্যে কলকাঠি নেড়েছেন নজরুল ইসলাম আজাদ এবং দিপু ভূঁইয়ার কল্যাণে যুবদলের াাহবায়ক হয়েছেন গোলাম ফারুক খোকন- এ দু’জনের বিরুদ্ধেই তৃণমূলের রয়েছে বিশাল ক্ষোভ। কারণ এই দুই নেতা বিগত সময়ের আন্দোলন সংগ্রামে রাজপথে উপস্থিত ছিলেন না। মামলা-হামলায় জর্জরিত নেতাকর্মীদের পাশে কখনো দাঁড়ান নাই। জেলা যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক খোকন দায়িত্ব পাওয়ার পরে কয়টা মিটিং মিছিলে অংশ নিয়েছেন, তা হয়তো তিনি নিজেও বলতে পারবেন না। আর ভিপি কবীরকে যুবদলের নেতাকর্মীরাতো ঠিকমতো চিনেইনা।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ১৯ অক্টোবর শহিদুল ইসলাম টিটুকে সভাপতি এবং গোলাম ফারুক খোকনকে সাধারণ সম্পাদক করে নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদলের আংশিক কমিটির অনুমোদন দেন কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সভাপতি সাইফুল আলম নীরব ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নূরুল ইসলাম নয়ন।
আংশিক কমিটির সদস্যরা হলেন সভাপতি শহিদুল ইসলাম টিটু, সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক খোকন, সহ-সভাপতি সালাউদ্দিন চৌধুরী সালামত, সহ সভাপতি একেএম আমিরুল ইসলাম ইমন, সহ সভাপতি হারুন অর রশিদ মিঠু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সহিদুর রহমান স্বপন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম ভূইয়া ও সাংগঠনিক সম্পাদক জিয়াউল হক চয়ন।
আংশিক কমিটি ঘোষণার প্রায় ছয় মাস পরে ২৩ মার্চ শহীদুল ইসলাম টিটুকে সভাপতি গোলাম ফারুক খোকনকে সাধারণ সম্পাদক করে নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদলের ২০১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়।
