নারায়ণগঞ্জ মেইল: নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ১৩ নং ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে বিজয়ী হওয়ার পর থেকেই আত্মগোপনে রয়েছেন মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ। ধর্ষণ মামলায় ওয়ারেন্ট থাকায় নির্বাচনের পর থেকেই তিনি আত্মগোপনে রয়েছে। তবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ সরব খোরশেদ। নির্বাচনের পর ধর্ষণ মামলার ওয়ারেন্ট নিয়েই পবিত্র ওমরা হজ্জ্ব পালন করেছেন খোরশেদ। খোরশেদ আত্মগোপনে থাকায় কাঙ্খিত সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন ওয়ার্ডবাসী।
গত নাসিক নির্বাচনে আওয়ামীলীগের প্রভাবশালী নেতার অদৃশ্য শক্তিতে হেভিওয়েট প্রার্থী নির্বাচনকে থেকে সরে দাঁড়িয়েছিলেন। এতেকরে বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়েছিলেন ধর্ষক খোরশেদ। কিন্তু বিজয়ী হওয়ার পর থেকেই ওয়ার্ডবাসী পাশে না থেকে সামাজিজক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে সরব রয়েছেন তিনি।
জানাগেছে, কাউন্সিলর খোরশেদের দ্বিতীয় স্ত্রী দাবিদার সাঈদা আক্তার গত বছেরর ২৫ আগস্ট খোরশেদের বিাংদ্ধে নারায়ণগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে ধর্ষণ মামলা দায়ের করে। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য পিবিআই নারায়ণগঞ্জকে নির্দেশ দেন। ২রা সেপ্টেম্বর পিবিআই মামলার তদন্তভার গ্রহণ করে। গত ৮ নেভম্বর খোরশেদের বিরুদ্ধে দায়ের করা ধর্ষণ মামলার তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করেছিল পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। তদন্তে ধর্ষণের সত্যতা প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছিল।
প্রদিবেদন দাখিলের পর খোরশেদকে গ্রেফতার করতে আদালত ওয়ারেন্ট ইস্যু করলে হাই কোর্ট থেকে ৬ সপ্তাহের জামিন নিয়ে নির্বাচনে অংশ নিয়েছিল। নির্বাচনের দুইদিন আগে গত ১৪ জানুয়ারী জামিনের মেয়াদ শেষ হলেও আর আত্মসমর্পণ করেনি খোরশেদ। এর আগে গত বছরের ১৬ই মে রাতে ফতুল্লা মডেল থানায় কাউন্সিলর খোরশেদ ও রেহানা আক্তার নামে এক নারীর বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেছিলেন সাঈদা আক্তার। ওই মামলায় পুলিশ খোরশেদ ও রেহানা আক্তারকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগ (চার্জশিট) পত্র দিয়েছে। এই মামলায় আদালত চার্জ গঠন করেছে।