নারায়ণগঞ্জ মেইল: নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপি নেতা রুহুল আমিনের বিরুদ্ধে অভিযোগের অন্ত নেই স্থানীয় নেতাকর্মীদের। নিজস্ব কোনো ব্যক্তিত্ব না থাকা রুহুল বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন নেতার কাঁধে ভর করে নিজের স্বার্থ হাসিল করেন বলে জানান নেতাকর্মীরা। বিশেষ করে টাকাওয়ালা নেতাদের চামচামি করে থাকেন রুহুল, তাছাড়া এক নেতার বিরুদ্ধে আরেকজনের দ্বন্দ্ব লাগানোর কাজ করেন তিনি। আর এ কারনে বেশ কয়েয়কবার গণধোলাইয়ের শিকারও হয়েছেন, তবুও হুঁশ ফেরেনি রুহুল আমিনের যাকে পরগাছা নামে ডাকেন স্থানীয়রা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নারায়য়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আহবাক কমিটির সদস্য রুহুল আমিনের বাড়ি বরিশালে হলেও দীর্ঘদিন যাবত থাকেন নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায়। এ কারনে অনেকে তাকে বরিশাইল্লা রুহুল নামেও ডাকেন। বিএনপি নেতা রুহুল আমিনের নেই কোনো কর্মীবাহিনী। এমনকি নারায়ণগঞ্জে একজন কর্মীও তৈরী করতে পারেননি বরিশাইল্লা রুহুল বরং তিনি নিজেই একেক সময় একেক নেতার উপর ভুতের মতো ভর করেন এবং নিজের অর্থনৈতিক সুবিধা আদায় করে থাকেন। অনেকে বলে থাকেন রুহুল আমিন ভাড়ায় খাটা নেতা। তিনি যখন যে নেতার ফাইফরমাশ খাটেন তখন তার গুণগান করেন আর অন্য নেতাদের বিরুদ্ধে সে নেতার কান ভারী করেন। যে কারনে এক নেতার সাথে আরেক নেতার দ্বন্দ্ব তৈরী হয়ে থাকে। তার এই চোগলখোরী স্বভাবের কারনে একবার নারায়ণগঞ্জ আদালতের বাইরে গণধোলাইয়ের শিকার হন তিনি।
এছাড়াও এই নেতার বিরুদ্ধে মাদক ব্যবসা ও মাদক সেবনের অভিযোগও জানান স্থানীয় নেতাকর্মীরা। ইতিপূর্বে তার মালিকানাধীন দোকান থেকে বিপুল পরিমান মাদক উদ্ধার করেছিলো প্রশাসন তবে অদৃশ্য কারনে সে যাত্রায় মামলা হামলা থেকে বেঁচে যান রুহুল। স্থানীয় একটি স্কুলে ভর্তি করিয়ে দেয়ার কথা বলে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থীর কাছ থেকে টাকা নিয়ে মেরে দেন রুহুল। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা রুহুলকে ধাওয়া করে ধরে গণধোলাই দেন এবং মেরে তার দাঁত ফেলে দেন।
এসব বিষয়ে জানতে চাইলে কোনো মন্তব্য করেননি রুহুল আমিন।