নারায়ণগঞ্জ মেইল: প্রায় ৫ মাস পার হয়েছে করোনা মহামারির। দীর্ঘ এ সময়ে জনগনের পাশে এসে দাড়াতে দেখা যায়নি নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা: সেলিনা হায়াত আইভীকে। এক মুঠো চাল কিংবা একটি হ্যান্ড স্যানিটাইজার নিজের হাতে বিতরণ করেননি তিনি। এ নিয়ে স্থানীয় গণমাধ্যমে বিস্তর লেখালেখি হলেও ঘর ছেড়ে বের হননি মেয়র। তবে ১৫ আগষ্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৫তম শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবসে জাতির পিতার প্রতিকৃতিকে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়ে দিনভর নানা কর্মসূচি পালন করেন সিটি মেয়র ও জেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ সভাপতি ডা: সেলিনা হায়াত আইভী। আর এতে করেই আইভীর পক্ষের লোকেরা প্রচার মাধ্যম গরম করে ফেলেন নানা গালভরা বুলিতে। কিন্তু তাদের সে ফুলে যাওয়া বেলুন চুপসে যেতেও সময় লাগেনি। গত পাঁচ মাসে একটিমাত্র দিন সরব থেকে ফের গায়েব হয়ে গেছেন আইভী।
জানা যায়, নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা: সেলিনা হায়াত আইভী পেশায় একজন চিকিৎসক। একজন জনপ্রতিনিধির পাশাপাশি একজন চিকিৎসক হওয়ায় বর্তমান করোনা মহামারিতে আইভীর কাছে নারায়ণগঞ্জবাসীর প্রত্যাশা ছিলো আকাশচুম্বি। কিন্তু মেয়র হিসেবে জনগনের পাশে দাড়ানোর বা দুস্থ্য অসহায় মানুষের দ্বারে দ্বারে ছুটে বেড়ানোর কথা থাকলেও লকডাউনের সময়ে বাসা থেকেই বের হননি তিনি। যে নারায়ণগঞ্জবাসী বারবার ভোট দিয়ে সেলিনা হায়াত আইভীকে মেয়র নির্বাচিত করেছেন, চরম দু:সময়ে তারা তাদের সেই প্রিয় মেয়রকে খুঁজেই পেলেন না। লকডাউনে কর্মহীন অসহায় মানুষের মাঝে নিজের হাতে এক মুঠো চাল দিতেও দেখা যায়নি তাকে। সরকারী ত্রাণের পাশাপাশি জনপ্রতিনিধিরা তাদের ব্যক্তিগত তহবিল থেকেও সাধারণ মানুষকে সাহায্য সহযোগিতা করে থাকলেও নাসিক মেয়র আইভী সে কাজটিও করেননি।
একজন জনপ্রতিনিধির পাশাপাশি সিটি মেয়র আইভী একজন চিকিৎসক। নামের আগে সব সময় ডা: কথাটি লেখা থাকলেও নারায়ণগঞ্জবাসী তার চিকিৎসা সেবা কখনো পাননি তাই এবার ভয়াবহ করোনা ভাইরাসের প্রকোপে নগরবাসী ভেবেছিলো চিকিৎসক আইভীর সেবা পাবেন নারায়ণগঞ্জবাসী। কিন্তু তাদের সে আশায়ও গুড়েবালি দিয়েছেন নাসিক মেয়র। সারা দেশের চিকিৎসক সমাজ যেখানে মৃত্যু ভয়কে উপক্ষো করে করোনার বিরুদ্ধে ফ্রন্টলাইনার হিসেবে যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়েছেন, সেখানে ডা: সেলিনা হায়াত আইভী নিজেকে গুটিয়ে রেখেছেন নিজ বলয়ে।