নারায়ণগঞ্জ মেইল: প্রাণঘাতি করোনা ভাইরাস থেকে মুক্তি পেতে অপ্রয়োজনে ঘর থেকে বের হতে এবং যে কোন ধরনের জমায়েতকে নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে। অথচ এ সংকটকালীন সময়েও নারায়ণগঞ্জের চাষাঢ়া শহীদ মিনারে দেখা গেছে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত লোকজন বিনা প্রয়োজনে আড্ডা দিচ্ছে। সেখানে মানা হচ্ছে না সাজিক দুরত্ব, অনেকেরই নেই সুরক্ষা সামগ্রী। ফলে করোনার সংক্রমণের শংকা করছেন স্থানীয়রা।
সরেজমিনে চাষাঢ়া শহীদ মিনারে গিয়ে দেখা গেছে, শহীদ বেদীর উপরে লোকজন বসে আড্ডা দিচ্ছে। লোকজন ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে শহীদ মিনারের চারদিকে। নিশ্চিন্তে তারা সময় কাটাচ্ছেন যেমনা করোনা ভাইরাসের প্রাদূর্ভাবের আগে লক্ষ্য করা যেতো। শহীদ মিনারে যারা আড্ডা দিচ্ছেন তারা কেউই সামাজিক দুরত্ব মানছেন না। অনেকের মুখেই দেখা যায়নি মাস্ক বা হাতে ছিলো না গ্লাভস। ফলে করোনা বিস্তার খুব সহজেই সম্ভব বলে ধারনা করা হচ্ছে। তাই অবিলম্বে শহীদ মিনারটি জনসধারণের জন্যে উন্মুক্ত না রেখে বন্ধ ঘোষনার দাবী জানিয়েছে সচেতন মহল।
জানা যায়, বিশ্বব্যাপী মহামারি রূপ নেয়া করোনা ভাইরাসের প্রকোপে বাংলাদেশেও আতঙ্ক ছড়িয়ে পরছে সর্বত্র। স্কুল কলেজ বন্ধ হয়ে গেছে অনেক আগেই, ঘোষনা করা হয়েছিলো সাধারণ ছুটি। ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত দেশে সাধারণ ছুটি ঘোষনা করেছিলো সরকার, কয়েক দফা বেড়ে ৩০ মে পর্যন্ত ঘোষনা হয়েছে সেই ছুটি। সেই সাথে দেশের সকল মার্কেট, সুপার মার্কেট ও দোকানপাট বন্ধ ঘোষনা করেছিলো দোকান মালিক সমিতি, বন্ধ হয়ে গিয়েছিলো গন পরিবহনও। তবে গত ৩১ মে থেকে সাধারণ ছুটি বাতিল করে আবারো খুলে দেয়া হয় অফিস আদালত আর দোকানপাট, সীমিত আকারে চলছে গণ পরিবহনও।
সারাদেশের রাজনীতিবীদরা চেষ্টা করছেন করোনা প্রতিরোধে সাধারণ মানুষের পাশে দাড়াতে। সরকারী বেসরকারী পর্যায়ে চলছে সাহায্য সহযোগিতা। সংসদ সদস্যসহ জনপ্রতিনিধিরা সাধারণ মানুষের সেবায় এগিয়ে এসেছেন। সকলকে সচেতন করছেন করোনার কবল থেকে মুক্তি পেতে সতর্ক থাকার জন্য। স্বাস্থ্য বিধি মেনে সকলকে ঘরে থাকার আহবান জানিয়েছে সরকার। আর যারা প্রয়োজনে বাইরে বের হচ্ছে তাদেরকে প্রয়োজনীয় সুরক্ষা ব্যবস্থা অবশ্যই মেনে চলার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।