নারায়য়ণগঞ্জ মেইল: নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলা বিএনপির একক নিয়ন্ত্রন এখন সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আজহারুল ইসলাম মান্নানের হাতে। গত বেশ কয়েক বছর যাবত রাজপথে আন্দোলন সংগ্রামে নেতৃত্ব দেওয়াসহ নেতাকর্মীদের আগলে রেখেছেন তিনি। ফলে অলিখিতভাবে সোনারগাঁ বিএনপির অভিভাবকে পরিনত হয়েছেন মান্নান। আজহারুল ইসলাম মান্নানও চেষ্টা করছেন নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ করে আগামী দিনের আন্দোলন সংগ্রামের জন্যে প্রস্তুতি নিতে। তবে তার চারপাশে বিতর্কিত কিছু লোকের কারনে বারবার তিনি পিছিয়ে পরছেন, হচ্ছেন সমালোচিত। আজহারুল ইসলাম মান্নান সবচেয়ে বেশী বেকায়দায় পরেছেন তার বর্তমান কমিটির সদস্য সচিব মোশারফ হোসেনকে নিয়ে। বিএনপির চেয়ে সরকারী দল আওয়ামীলীগের সাথে বেশী সখ্যতা গড়ে উঠা মোশারফ এখন মান্নানের গলার কাঁটা হয়ে দেখা দিয়েছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সোনারগাঁ উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব মোশারফ হোসেনের বিরুদ্ধে স্থানীয় নেতাকর্মীদের অভিযোগের অন্ত নেই। মোশারফ হোসেন বিগত সময়ে সরকারি দল আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সাথে নৌকার পক্ষে ভোট প্রার্থনাকারী বিতর্কিত বিএনপি নেতা। গত ১৫ বছর ক্ষমতার বাইরে বিএনপি। এ সময়ে আন্দোলন সংগ্রামে রাজপথে কোনদিন দেখা মিলেনি মোশাররফের। তাছাড়া পুলিশের মামলা হামলায়ও নাম নেই এই বিএনপি নেতার। মূলত সরকারি দলের সাথে আঁতাত করে চলায় সকল কিছু থেকে নিরাপদে থেকেছেন তিনি। আর এরকম একজন সুবিধাবাদী নেতাকে সোনারগাঁ বিএনপির নেতৃত্বে নিয়ে আসায় মান্নানের প্রতি ক্ষুব্ধ সোনারগাঁ বিএনপি’র তৃণমূল নেতাকর্মীরা।
নেতাকর্মীরা মনে করেন, সোনারগাঁ বিএনপির এক সময়ের কর্ণধার সাবেক মন্ত্রী রেজাউল করিম ও খন্দকার আবু জাফরের অনুসারীদের মাইনাস করতে গিয়েই বেশী বেকায়দায় পরেছেন মান্নান। সোনারগাঁ বিএনপিতে একক কতৃত্ব স্থাপন করতে প্রবীন এ দুই নেতাকে ও তাদের অনুগত নেতাকর্মীদের মাইনাসের ফর্মূলা সাজান আজহারুল ইসলাম মান্নান। আর এ ফর্মূলা বাস্তবায়ন করতে গিয়েই মোশারফের মতো আরো বেশ কয়েকজন বিতর্কিতদের স্থান দেন কমিটিতে। যা তৃণমূল নেতাকর্মীদের মাঝে ক্ষোভের সঞ্চার করে। আর এ কারনে রাজপথের পরীক্ষিত নেতা হওয়ার পরেও সোনারগাঁ বিএনপিকে ঐক্যবদ্ধ করতে বারবার ব্যর্থ হচ্ছেন মান্নান।