নারায়ণগঞ্জ মেইল: বিএনপির পার্টির অফিসের সামনে থেকে গ্ৰেপ্তার কেন্দ্রীয় যুবদলের সাবেক কার্যকরী সদস্য সাদেকুর রহমান সাদেক ও নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের সদস্য সচিব মনিরুল ইসলাম সজল পল্টন থানার নাশকতার পরিকল্পনাকারী ও ভাংচুর মামলায় তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
সোমবার ( ৭ ফেব্রুয়ারি ) ঢাকা সিএমএম আদালতে আসামিদের হাজির করে ৭দিনের পুলিশ রিমান্ডের আবেদন করলে আদালত শুনানি শেষে ৩দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
রবিবার রাতে পল্টন থানায় গ্ৰেপ্তার ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য সচিব রফিকুল ইসলাম মজনুকে প্রধান আসামি করে আরো ৬২ জনের নাম উল্লেখ সহ ৩০০/৪০০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়। এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয় না যুবদল নেতা সাদেকুর রহমান সাদেক ও মনিরুল ইসলাম সজলকে।
এদিকে নারায়ণগঞ্জের যুবদল নেতা সাদেকুর রহমান সাদেক ও মনিরুল ইসলাম সজলের গ্রেফতার ও রিমান্ডের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের আহবায়ক মমতাজউদ্দীন মন্তু। সম্পূর্ণ বিনা উস্কানিতে বিএনপি ও যুবদল নেতৃবৃন্দকে গ্রেফতার করা হয়েছে মর্মে মন্তু এর তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, মামলা-হামলা দিয়ে জিয়ার সৈনিকদের আটকে রাখা যাবে না। রাজপথে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া মুক্ত করা হবে এবং আগামীর রাষ্ট্রনায়ক তারেক রহমানের নেতৃত্বে দেশে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে আমরা নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদল আন্দোলন সংগ্রামের জন্য সদা প্রস্তুত আছি। আমরা এই গ্রেফতারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। সেই সাথে গ্রেপ্তারকৃত নেতাকর্মীদের অবিলম্বে মুক্তি দাবি করছি।
উল্লেখ্য, রবিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত আনুমানিক দেড়টার দিকে রাজধানীর পল্টন থানাধীন বিএনপি’র কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। এর আগে দীর্ঘ সময় তারা দলীয় কার্যালয়ে অবরুদ্ধ থাকেন।
রবিবার কেন্দ্রীয় যুবদলের সাথে জরুরি বৈঠকের জন্য মহানগর যুবদলের আহবায়ক মমতাজউদ্দীন মন্তু, সদস্য সচিব মনিরুল ইসলাম সজল, যুগ্ম-আহ্বায়ক মোয়াজ্জেম হোসেন মন্টি, যুবদল নেতা সাদেকুর রহমান সাবেক ও শহিদুল ইসলামসহ বেশ কয়েকজন নেতা বিএনপি’র পল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে যান। আর জেলা যুবদলের নতুন কমিটি বিষয়কে খোঁজ খবর নিতে যান কেন্দ্রীয় যুবদলের সাবেক সদস্য সাদেকুর রহমান সাদেক। বৈঠক শুরুর পূর্বে রবিবার সন্ধায় কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের রাস্তায় ছাত্রদল নেতাকর্মীদের সাথে পুলিশের দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। এসময় বেশ কয়েকজন নেতাকর্মীকে পুলিশ সেখান থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে রাত দেড়টার দিকে তারা পার্টি অফিস থেকে বের হলে পল্টন থানা পুলিশ গ্রেফতার করেন।