নারায়ণগঞ্জ মেইল: দারুল আরকাম ইবতেদায়ী মাদরাসার শিক্ষকদেও বকেয়া বেতন-বোনাসসহ ৪ দফা দাবীতে জেলা প্রশাসককে স্মারকলিপি দিয়েছেন শিক্ষকরা। ২৫ মে (রবিবার) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসককের কাছে নারায়ণগঞ্জের ১১ টি মাদরাসার শিক্ষক শিক্ষিকারা স্মারকলিপি প্রদান করেন।
স্মারকলিপিতে উল্লেখ করেন, ধর্ম মন্ত্রণালয়ের অধীন ইসলামিক ফাউন্ডেশন কর্তৃক পরিচালিত দারুল আরকাম ইবতেদায়ী মাদরাসা নারায়ণগঞ্জের ১১ টি প্রতিষ্ঠান সহ বাংলাদেশের প্রতিটি উপজেলায় দুটি করে মোট ১হাজার ১০ টি দারুল আরকাম ইবতেদায়ী মাদ্রাসার রয়েছে। ২০২০ শিক্ষাবর্ষে এই প্রকল্পটিকে “দারুল আরকাম ইবতেদায়ী মাদরাসা স্থাপন ও পরিচালনা শীর্ষক প্রকল্প” নামে আলাদা প্রকল্প করা হয়। ২০২১ইং হতে ২০১৪ইং প্রকল্পের (১ম পর্যায়) সমাপ্ত হলেও অফিসিয়াল নির্দেশনা অনুযায়ী ইবতেদায়ী ১ম শ্রেণি হতে ৪র্থ শ্রেণি পর্যন্ত সুনামের সহিত শিক্ষা কার্যক্রম চলমান রয়েছে। শিক্ষক-শিক্ষিকা ও অফিস সহায়ক কর্মীগণ নিজ নিজ দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
২০২৫ইং অনলাইন জনমত যাচাইয়ে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের প্রতিমাসে এই প্রকল্পের পক্ষে সর্বোচ্চ ইতিধান্তক মতামতের রেকর্ড সৃষ্টি করেছে। ২০২৪ইং সালের জুন মাসে প্রকল্পের ডিপিপি প্রস্তাব উপস্থাপন করা হলেও প্রকল্প পরবর্তী (২য় পর্যায়) অনুমোদন না হওয়ায় গত জানুয়ারী-২০২৫ইং হতে অদ্যাবধি কর্মরত ৩ হাজার৫০ জন শিক্ষক-শিক্ষিকা ও ১ হাজার ১০ জন অফিস সহায়ক কর্মী বেতন-ভাতা থেকে বঞ্চিত রয়েছেন। লক্ষ লক্ষ অভিভাবক, শিক্ষার্থী, জমিদাতা ও ম্যানেজিং কমিটির সদস্যাগণ হতাশায় দিনাতিপাত করছেন। দ্রুত প্রকল্প পাশ করে দের বেতন ভাতা বোনাস পরিশোধের দাবী জানান। দারুল আরকাম ইবতেদায়ী মাদরাসা পরিচালনা ও সু-সংহত করণ প্রকল্প (২য় পর্যায়) পূর্বের নায় ও ৪র্থ শ্রেণি পর্যন্ত বহাল থেখে দ্রুত অনুমোদন করা। বিদ্যমান শিক্ষক-শিক্ষিকা ও অফিস সহায়ক কর্মীগণকে প্রকল্পের ২য় পর্যায়ে সংক্রিয়ভাবে নিয়োগ বহাল করা। প্রকল্পের ১ম পর্যায়ের ২০২০ সালে কর্মরত শিক্ষক-শিক্ষিকাগণের বেতন-বোনাসসহ ১ বছরের বকেয়া পরিশোর করা দাবীও জানান তানা।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক জামাল হোসেন, বাংলাদেশ দারুল আরকাম শিক্ষক কল্যাণ সমিতির নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি ও কেন্দ্রীয় কমিটির দপ্তর সম্পাদক মুফতি জসিম উদদীন সিদ্দিকী, সাধারণ সম্পাদক, হাফেজ মাওলানা আলী মাহমুদ, সাংগঠনিক সম্পাদক, হাফেজ মনোয়ার হোসেন, কোষাধক্ষ্য হাফেজ মাওলানা লোকমান হাকিম, শিক্ষিকা আলেমা নুরে হাবিবা , উম্মে হাবিবা তামান্না, সহকারী রাকিবা এবং জেলার অন্যান্য সকল শিক্ষক-শিক্ষিকাসহ আরও অনেকে।
