নারায়ণগঞ্জ মেইল: নারায়ণগঞ্জ সিটি প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক ও বেসরকরাী স্যাটেলাইট চ্যানেল আনন্দ টিভি’র নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি সৈয়দ সিফাত আল রহমান লিংকনের পিতা নাসিক ১৩নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ লুৎফর রহমান গত ৫দিন যাবৎ অসুস্থ হয়ে সাইনবোর্ডে অবস্থিত প্রোএক্টিভ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের আইসিউ বিভাগে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
জানা গেছে, গত শুক্রবার ১৫ অক্টোবর রাতে গুরুত্বর অসুস্থ হয়ে পড়লে সৈয়দ লুৎফর রহমানকে চিকিৎসার জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ঢাকা মিটফোর্ড হাসপাতালে রেফার্ড করেন। রাতেই এ্যাম্বুলেন্স দিয়ে তাকে ঢাকা মিটফোর্ড হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও সেখানে ভর্তির জন্য কোন সিট খালি না পাওয়ায় সেখান থেকে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সে ও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু সেখানেও ভর্তি করাতে না পেরে পরবর্তীতে প্রতিষ্ঠান প্রোএক্টিভ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের আইসিউতে ভর্তি করানো হয়।
সৈয়দ লুৎফর রহমান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আশির্বাদ নিয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধে রেখেছিলেন অনন্য ভূমিকা। আওয়ামী লীগের জন্য নিবেদিত প্রান হবার কারনে ২০০১ সালে চাষাড়া আওয়ামী লীগ অফিসে বোমা হামলার শিকার হন। সেই বোমা হামলার স্প্রিন্টার এখনো নিজের দেহে বহন করে চলেছেন। এরপরেও আওয়ামী লীগের রাজনীতি ছাড়েননি। পরবর্তীতে নাসিক ১৩নং ওয়ার্ডের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি পদ পান।
এদিকে, দীর্ঘদিন সততার সাথে আওয়ামী লীগের রাজনীতি করে গেলেও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সৈয়দ লুৎফর রহমানের সহায়তায় এগিয়ে আসেনি দলের কোনও নেতা কিংবা স্থানীয় কোনও এমপি। খোঁজ খবরও নেয়নি কেউই। তাছাড়া একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা হলেও নারায়ণগঞ্জের মুক্তিযোদ্ধাদের সংগঠন থেকেও কোন প্রকার খোজখবর নেয়া বা সহায়তা প্রদান করা হয়নি। হাসপাতলটি বেসরকারী হওয়ায় বর্তমানে তার চিকিৎসার ব্যায়ভার বহন করা পরিবারের পক্ষে কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে। আওয়ামী লীগের সরকার ক্ষমতায় থাকলেও দলের নিবেদিত প্রাণরা যে অবহেলিত তারই প্রমাণ সৈয়দ লুৎফর রহমান। তৃণমূলের প্রাণ এসব কর্মীদের শেষ বেলায় এভাবে অবমূল্যায়ন দুঃখজনক।