ভবানী শংকরের মন্দির দখলের পাঁয়তারা!

নারায়ণগঞ্জ মেইল: নারায়ণগঞ্জের মিনাবাজারে অবস্থিত গোপীনাথ জিউর আখড়ার দেবোত্তর সম্পত্তি দখলের অভিযোগ উঠেছে জেলা সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি ভবানী শংকর রায়ের বিরুদ্ধে। গোপীনাথ জিউর আখড়া পরিচালনা পরিষদ ট্রাষ্টি বোর্ডের দায়িত্বপ্রাপ্ত সহ সাধারণ সম্পাদক উত্তম কুমার সাহা এ অভিযোগ করেন।

উত্তম কুমার সাহা ভবানী শংকর ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে সম্পত্তি দখলে অভিযোগ তুলে বলেন, গোপীনাথ জিউর আখড়া পরিচালিত হয় টাষ্টি বোর্ডের মাধমে। ২০০৫ সালের ৩ মার্র্র্চ প্রথম শ্রেণির ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে হলফনামার মাধমে ট্রাষ্টি বোর্ড গঠন করা হয়। কিন্তু জনৈক ভবানী শংকর গং মন্দিরের দেবোত্তর সম্পত্তি আত্মসাতের উদ্দেশ্যে ২০০৫ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর তারিখে ভূমি জরিপে তাদের নামে রেকর্র্র্র্ড করে নেয়। বিষয়টি ট্রাষ্টি অবগত হলে এক জরুরী সভার মাধ্যমে ট্রাষ্টির সকল সদস্যগণ আইনীভাবে মন্দিরটি দেখভাল করার জন শ্রী উত্তম কুমার সাহাকে মনোনীত করে। উত্তম কুমার সাহা ভূমিদস্যুদের হাত থেকে মন্দির রক্ষা করার জন্য নারায়ণগঞ্জের আদালতে ৩০ ধারায় মামলা দায়ের করেন। মামলার বিচারকাজ শেষে বিজ্ঞ আদালত ভূমি জরিপে নাম খারিজ করে দেন এবং পুনরায় মন্দিরের নামে রেকর্ডভুক্ত করার নির্দেশ দেন।

উত্তম সাহা বলেন, আদালতের নির্দেশে ভূয়া নামজারি খারিজ হওয়ায় ভবানী গংদের মন্দিরের জমি আত্মসাতের অভিপ্রায় ব্যর্থ হয়ে যাওয়ায় তারা নানা অসৎ উপায় অবলম্বন করে ট্রাষ্টির বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করে। সে মামলায়ও ট্রাষ্টর অনুকুলে রায় আসে। বর্তমানে সে মামলা আপীল আদালতে বিচারাধীন। এমতাবস্থায় বিগত সময় ট্রাষ্টিকে অবগত না করে মন্দির অভ্যন্তরে নিজেদের বৈধতা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে চুপিসারে হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাষ্টের নিকট মন্দির সংস্কারের নামে ভূয়া আবেদন করে। এ আবেদন মন্দির নিয়ে চলমান মামলাটির ক্ষতি সাধণ করাই তাদের একমাত্র উদ্দেশ্য বুঝতে পেরে ট্রাষ্টি বাঁধা প্রদান করে। এখানে আরো উল্লেখ থাকে যে, মন্দিরের সেবায়েত মাধব চক্রবর্তী ইতিমধ্যেই বহিরাগত ভবানী গংদের অত্যাচারে অতীষ্ট হয়ে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর শাখায় ভবানী গংদের নামে সুষ্ঠ বিচার চেয়ে দুইটি লিখিত আবেদন করে। আবেদনের প্রেক্ষিতে পূজা পরিষদ নেতৃবৃন্দ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে অনাহুত বহিরাগতদের আগমন বন্ধে পদক্ষেপ নেয় এবং বর্তমানে পূজারির আবেদনের প্রেক্ষিতে নারায়ণগঞ্জ পূজা পরিষদ একটা সতর্ক বিজ্ঞপ্তি মন্দির অভ্যন্তরে টানিয়ে দেয় যাতে কোন প্রকার অপ্রিতিকর ঘটনা না ঘটে। সে লক্ষ্যে পূজা পরিষদ এবং ট্রাষ্টি সমন্বিতভাবে যে কোন অপ্রিতিকর ঘটনা রোধ কল্পে কঠোর অবস্থান গ্রহন করে। এতে করে ভবানী গং নানাভাবে ট্রাষ্টি ও পূজা পরিষদের বিরুদ্ধে অপপ্রচারে লিপ্ত হয়। নারায়ণগঞ্জের সচেতন হিন্দু সমাজকে এসব অপপ্রচারে বিভ্রান্ত না হওয়ার আহবান জানানো হচ্ছে।

মুঠোফোনে ভবানী শংকরের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, এ বিষয়ে আমার সংশ্লিষ্টতা নেই।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

নারায়ণগঞ্জ মেইলে এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।

সর্বশেষ