নারায়ণগঞ্জ মেইল: প্রাণঘাতি করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে ৫ এপ্রিল থেকে দেশব্যাপী লকডাউন ঘোষনা করা হয় যা এখনো চলমান। মানুষের বিনা প্রয়োজনে ঘর থেকে বের হওয়া প্রতিরোধে কাজ করছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। কিন্তু গত ৯ এপ্রিল থেকে সীমিত আকারে খুলে দেয়া হয়েছে দোকানপাট বিপনীবিতানগুলো। পবিত্র ঈদ উল ফিতরকে সামনে রেখে এ সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। মার্কেট খোলার প্রথমদিকে তেমন একটা ভিড় দেখা না গেলেও ঈদ যত ঘনিয়ে আসছে শপিং মলগুলোতে উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে। করোনার মহামারিকে ভুলে নগরবাসী যেনো ঈদ উৎসবে মেতে উঠেছে।
সরেজমিনে নারায়ণগঞ্জের ব্যস্ততম বঙ্গবন্ধু সড়কের আশেপাশে ডিআইটি থেকে চাষাঢ়া পর্যন্ত ঘুরে দেখা গেছে রাস্তায় যানবাহন চলাচল আগের চেয়ে অনেকগুণ বেড়ে গেছে। তাছাড়া সড়কের ফুটপাতে অনেক স্থানে নানা পণ্যের পসরা নিয়ে বসতে দেখা গেছে হকারদের। ফুটপাত ছাড়িয়ে মূল সড়কের উপরেও ভ্যানগাড়িতে করে পণ্য নিয়ে বেচাকেনা করতে দেখা হকারদের। সেখানে মধ্য ও নিম্ন আয়ের মানুষ তাদের সাধ আর সাধ্যের সমন্বয় ঘটিয়ে করছেন ঈদ কেনাকাটা। ফলে ব্যস্ততম বঙ্গবন্ধু সড়কে দিনভারই লেগে থাকছে বিশ্রি রকমের যানজট।
এদিকে শহরের বিপনী বিতানগুলোতে ঈদ কেনাকাটা করতে আসা মানুষের প্রচন্ড ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। শহরের ডিআইটির বর্ষন সুপার মার্কেট, সোনার বাংলা মার্কেট, টোকিও প্লাজা, চাষাঢ়ার মার্ক টাওয়ার, হক প্লাজা, শান্তনা মার্কেট, বেইলী টাওয়ার, পানোরমা প্লাজা, লুৎফা টাওয়ার, হাসনাত স্কয়ারসহ ছোট বড় সব মার্কেটেই ক্রেতা সাধারণের উপস্থিততি দেখা গেছে। করোনাকে ভুলে মনের আনন্দে কেনাকাটা করছেন নগরবাসী। এসব মার্কেটগুলোতে নেই স্বাস্থ্য সুরক্ষার কোন উপকরণ। তাছাড়া সামাজিক দুরত্ব দুরে থাক, শারীরিক দুরত্বও কোথাও বজায় থাকছে না। ফলে ধীরে ধীরে কমতে থাকা করোনার সংক্রমণ এই ঈদ কেনাকাটায় আবারো বৃদ্ধি পায় কিনা সে শংকা এখন সর্বত্র।