নারায়ণগঞ্জ মেইল: সারাদেশের মতো নারায়ণগঞ্জেও গত ৭ ফেব্রুয়ারি শুরু হয়েছিলো করোনা ভাইরাসের টিকা গ্রহন কার্যক্রম। টানা এক মাস চলা এ কার্যক্রমে এখন পর্যন্ত টিকা নিয়েছেন ৮৮ হাজার ১২২ জন। চলতি মার্চ মাসেই শেষ হবে করোনা টিকার প্রথম ডোজের কাজ। এপ্রিল থেকে শুরু হবে দ্বিতীয় জোজ প্রদান। বিষয়গুলি নিশ্চিত করেছেন সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ও করোনার ফোকাল পার্সন ডা: জাহিদুল ইসলাম।
তবে নারায়ণগঞ্জে গত এক মাসের টিকা কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করে দেখা গেছে, একটা নির্দিষ্ট লেভেল পর্যন্ত টিকা গ্রহনের হার বেশী। সাধারণ খেটে খাওয়া প্রান্তিক জনগোষ্ঠির মাঝে টিকা গ্রহনের আগ্রহ খুবই কম দেখা গেছে। বিশেষ করে শ্রমিক অধ্যূষিত নারায়ণগঞ্জ জেলায় তৈরী পোষাক শিল্পে নিয়োজিত কিংবা দিন মজুর লোকজনের টিকা নেওয়ার প্রবনতা প্রায় নেই বললেই চলে। আর এক্ষেত্রে টিকা নিবন্ধন কার্যক্রমের জটিলতাকেই দায়ী করছেন সাধারণ লোকজন।
বিষয়টিকে একেবারেই উড়িয়ে না দিয়ে করোনার ফোকাল পার্সণ ডা: জাহিদুল ইসলাম নারায়ণগঞ্জ মেইলকে বলেন, টিকা নেওয়ার জন্যে সচেতনতা তৈরীর সর্বাত্মক চেষ্টা করা হয়েছে। সিদ্ধিরগঞ্জ ইপিজেড ও পঞ্চবটি বিসিক শিল্প এলাকায় টিকার রেজিষ্ট্রেশন করানোর জন্যে সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছে। তবে রেজিষ্ট্রেশন প্রকৃয়াটা আরেকটু সহজ করা গেলে টিকা গ্রহন আরো প্রান্তিক পর্যায়ে পৌছে দেয়া যেতো।