নারায়ণগঞ্জের বাজারে কমেনি ভোজ্য তেলের দাম

নারায়ণগঞ্জ মেইল: সরকার ভোজ্যতেলের মূল্য নির্ধারণ করে দেওয়ার পরদিন নারায়ণগঞ্জের বাজারে এর কোনো প্রভাব দেখা যায়নি। ব্যবসায়ীরা বলছেন, নতুন দামের তেল এলে বিক্রি শুরু হবে। অবশ্য এখন তেলের সরবরাহ তুলনামূলক কম।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে গত মঙ্গলবার অত্যাবশ্যকীয় পণ্য বিপণন ও পরিবেশকবিষয়ক জাতীয় কমিটির সভায় খুচরা বাজারে বোতলজাত সয়াবিন তেলের লিটারপ্রতি দাম ১৩৫ টাকা, খোলা সয়াবিন ১১৫ টাকা ও পাম সুপার ১০৪ টাকা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়।

বোতলজাত সয়াবিনের পাঁচ লিটারের এক বোতলের দাম ধরা হয় ৬৩০ টাকা।
নারায়ণগঞ্জের দ্বিগুবাবু বাজারের বিক্রেতারা জানান, কয়েকটি ব্র্যান্ডের তেলের সরবরাহ কয়েক দিন ধরে কম। দোকানে যে তেল আছে, তা আগের। এক লিটারের বোতল খুব একটা দেখা যায়নি। পাঁচ লিটারের বোতলের মোড়কে লেখা সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য (এমআরপি) ৬৫৫ থেকে ৬৮৫ টাকা।

সরকারি বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) হিসাবে, গতকাল খুচরা বাজারে খোলা সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ১১৬-১২০ টাকা দরে বিক্রি হয়। পাম তেল বিক্রি হয় ১০৫ থেকে ১০৭ টাকা লিটার। এটা সরকারনির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি।
এদিকে বাজারে ব্রয়লার মুরগির দাম গত সপ্তাহে বাড়ার পর আর কমেনি। গতকাল প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ১৪০ থেকে ১৪৫ টাকায় বিক্রি করেন বিক্রেতারা। ফার্মের সোনালিকা জাতের মুরগির দাম উঠেছে কেজিপ্রতি ২৬০ টাকায়। ফার্মের মুরগির ডিমের দাম অবশ্য স্বস্তিজনক অবস্থায় আছে। প্রতি ডজন ৯০ টাকার আশপাশে।

চালের দামে কোনো পরিবর্তন নেই। পেঁয়াজের পাইকারি দর গত সপ্তাহের তুলনায় কেজিপ্রতি ৩ থেকে ৫ টাকা কমেছে। খুচরায় কমেনি। দর অবশ্য সহনীয়, প্রতি কেজি ৩০-৩৫ টাকা। শীতের সবজির দামও কম। বেশির ভাগ শীতের সবজি এখনো ২০ থেকে ৩০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। অবশ্য বাজারে আসতে শুরু করা গ্রীষ্মের আগাম সবজির দাম চড়া। পটল ও ঢ্যাঁড়সের দাম প্রতি কেজি ৮০ থেকে ১০০ টাকা চান বিক্রেতারা।

লেবু আগের মতো চড়া দামেই বিক্রি হতে দেখা যায়। একটু বড় আকারের লেবুর হালি বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১২০ টাকায়। ছোট ছোট লেবু ৫০ থেকে ৬০ টাকা হালি চান বিক্রেতারা।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

নারায়ণগঞ্জ মেইলে এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।

সর্বশেষ