দুর্দিনে লাপাত্তা কালাম পুত্রের সুদিনে শক্তি প্রদর্শন!

নারায়ণগঞ্জ মেইল: নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এডভোকেট আবুল কালামের ছেলে মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সভাপতি আবুল কাউসার আশা মহান বিজয় দিবসে বিশাল বিজয় র‍্যালি করেছেন। বিগত দিনের আন্দোলন সংগ্রামে অনুপস্থিত থাকা কালাম পুত্রের এই শোডাউনে হাস্যরসের সৃষ্টি হয়েছে নেতাকর্মীদের মনে।

তৃণমূলের মতে, দুর্দিনে কুয়োর ব্যাঙের মতো লুকিয়ে ছিলেন আবুল কাওসার আশা। ফ্যাসিবাদী হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে মিটিং মিছিলে খুব একটা দেখে মেলেনি তার। সেই লোক ৫ আগস্টের পর থেকে লোকজন নিয়ে শক্তি প্রদর্শন করছেন। এসব সুবিধাবাদী নেতাদের কাছ থেকে তৃণমূলকে সাবধান থাকার কথাও জানান তারা।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সাবেক সভাপতি এডভোকেট আবুল কালাম ও তার পরিবারের লোকজনের বিরুদ্ধে বিস্তার অভিযোগ রয়েছে। বিশেষ করে বিগত সরকারের আমলে নেতাকর্মীরা যখন সরকারের বিরোধী আন্দোলন সংগ্রাম করেছেন তখন কালাম পরিবারের লোকজন সরকারি দলের এমপিদের সাথে মিলে স্থানীয় সরকারের জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হয়েছেন। সরকার বিরোধী আন্দোলনে রাজপথে পাওয়া না গেলেও সরকারি দলের এমপি-মেয়রদের সাথে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে প্রায়ই তাদেরকে দেখা যেত।

সূত্র মতে, ২০১৬ সালে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সভাপতি হন এডভোকেট আবুল কালাম। এরপর থেকে সরকার বিরোধী আন্দোলন সংগ্রামকে রাজপথ থেকে তুলে নিয়ে তার বাড়ির চার দেওয়ালে বন্দী করে ফেলেন তিনি ও তার পুত্র আবুল কাওসার আশা। অন্যান্য সংগঠন যখন রাজপথে মিটিং মিছিল করেছে তখন আবুল কালামের মহানগর বিএনপি কালামের বাড়ির চার দেওয়ালের ভিতরে দায়সারা অনুষ্ঠান করেছে।

মহানগর বিএনপির সেই কমিটি পূর্ণাঙ্গ করার সময় কালামপুত্র কাউসারকে মহানগর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদকের পদ দেয়া হয়। এছাড়াও মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতির দায়িত্বও পালন করেছেন আশা। দুটি গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকেও রাজপথে আন্দোলন সংগ্রামের পরিবর্তে সরকার দলীয় এমপি-মেয়রদের সাথেই তার সময় বেশি কাটতো। আর এ নিয়ে ক্ষোভ বিরাজ করতো তৃণমূল নেতাকর্মীদের মনে।

ক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা জানান, বছরের পর বছর আমরা যখন সরকারবিরোধী আন্দোলন সংগ্রাম করেছি তখন আবুল কালাম ও তার পুত্র আবুল কাওসারকে পাশে পাইনি। বিশেষ করে গত বছরের ২৮ অক্টোবরের পর থেকে সরকারবিরোধী চূড়ান্ত আন্দোলনে একদিনের জন্যও রাজপথে নামেননি আবুল কালাম কিংবা তার পুত্র আবুল কাওসার আশা। কথিত আছে সে সময়ে তারা দেশের বাইরে অবস্থান করছিলেন। বিএনপি নেতাকর্মীরা যখন জীবনের মায়া ত্যাগ করে সরকার বিরোধী আন্দোলন সংগ্রাম করেছে তখন বাপ-বেটা আরাম আয়েশের জীবন কাটিয়েছেন। এখন ৫ আগস্টের পর থেকে আবার রাজপথে দেখা মিলছে আবুল কালাম ও তার ছেলের। আমরা এ রকম সুবিধাবাদী নেতাদেরকে আর দেখতে চাই না।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

নারায়ণগঞ্জ মেইলে এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।

সর্বশেষ