নারায়ণগঞ্জ মেইল: নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহবায়ক এডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান বলেছেন, আওয়ামীলীগ সরকারের দু:শাসনে বাংলার মানুষ অতিষ্ঠ। আজ তারা এই স্বৈরশাসন থেকে মুক্তি চায়। দেশের মানুষের ভাত ও ভেটের অধিকার ফিরিয়ে আনতে এবং আওয়ামীলীগের অত্যাচার অবিচার থেকে রেহাই দিতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে এক দফা দাবি আদায়ের সংগ্রামে সারা দেশ আজ ঐক্যবদ্ধ, আওয়ামীলীগের পতন এখন শুধু সময়ের ব্যাপার মাত্র।
বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও সরকারের পদত্যাগসহ এক দফা দাবিতে নয়াপল্টনে বিএনপির জনসমাবেশের মঞ্চে বক্তব্যকালে তিনি এমসব কথা বলেন। বুধবার (১৮ অক্টোবর) দুপুর ২টায় রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির এই জনসমাবেশের আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
এডভোকেট সাখাওয়াত বলেন, এই আওয়ামী লীগ শেখ হাসিনার সরকার দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে হত্যা করতে চায়। তারা অসুস্থ খালেদা জিয়াকে চিকিৎসা করাতে দেয় না। আজকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ খালেদা জিয়াকে চিকিৎসা করার আগ্রহ প্রকশ করেছে। অথচ এই সরকার বেগম খালেদা জিয়াকে চিকিৎসায় হত্যা করতে চায়।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন খালেদা জিয়ার বয়স হয়েছে মারা যেতে পারে। সুতরাং তাতে কি আসে যায়। আমি বলতে চাই আপনার মধ্যে কোন রহম নাই। আপনি দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে বিনা চিকিৎসায় হত্যা করতে চাচ্ছেন। আজকের এই জনসমাবেশ থেকে বলতে চাই আমাদেও নেত্রীকে খোদা যদি বাঁচিয়ে রাখে, আপনি যতই চেষ্টা করেন না কেনো কিছুই করতে পারবেন না।
তিনি আরও বলেন, এই সরকারের পতন আসন্ন। আপনি দেশকে লুটেপুটে খেয়ে ফেলেছেন। দেশটাকে শূন্য করে দিয়েছেন। আজকের দেশের সব টাকা এমপি মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের পকেটে। আজকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সরকারের এই দুর্নীতি টাকায় ছেয়ে গেছে যে দেশে যাবেন সেই দেশেই তাদের দুর্নীতির টাকা পাওয়া যাবে। সরকারের পতন হলে আপনারা দেখতে পারবেন এই সরকারের দুর্নীতির টাকা কিভাবে প্রকাশ হয়। অবিলম্বে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে উন্নত চিকিৎসা জোর দাবি জানাচ্ছি আর না হলে সরকারের পতনের মধ্যে দিয়ে দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা হবে।
এদিকে বিএনপি’র জনসমাবেশকে সফল করতে সকাল থেকেই নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আওতাধীন নারায়ণগঞ্জ সদর থানা, বন্দর থানা, বন্দর উপজেলা ও বিভিন্ন ইউনিয়ন এবং ওয়ার্ড বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, শ্রমিকদল, মহিলাদল, কৃষকদল, ওলামাদলসহ অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের নিয়ে পৃথক পৃথকভাবে মিছিল নিয়ে মতিঝিল বিআরটিসি ভবনের সামনে এসে জড়ো হতে থাকে।
নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খান ও সদস্য সচিব এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু’র নেতৃত্বে এসময়ে আরও উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক এড. সরকার হুমায়ুন কবির, মনির হোসেন খান, আনোয়ার হোসেন আনু, ফতেহ রেজা রিপন, আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ডা. মজিবুর রহমান, হাবিবুর রহমান দুলাল, মাসুদ রানা, এড. এইচএম আনোয়ার প্রধান, বরকত উল্লাহ, সাখাওয়াত ইসলাম রানা, মাকিদ মোস্তাকিম শিপলু, কামরুল হাসান চুন্নু সাউদ, ফারুক হোসেন, বন্দর উপজেলা বিএনপির সভাপতি মাজহারুল ইসলাম হিরণ, সাধারণ সম্পাদক হারুন উর রশিদ লিটন, বন্দর থানা বিএনপি’র সাবেক আহ্বায়ক নুর মোহাম্মদ পনেছ, বন্দর থানা বিএনপি’র সভাপতি শাহেন শাহ্ আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক রানা, মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম সজল, সদস্য সচিব সাহেদ আহমেদ, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক শাখাওয়াত ইসলাম রানা, সদস্য সচিব মমিনুর রহমান বাবু, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক কামাল উদ্দিন জনি, মহানগর শ্রমিকদলের আহ্বায়ক এস এম আসলাম, সদস্য সচিব ফারুক হোসেন, বিএনপি নেতা আবুল হোসেন রিপন, শেখ সেলিম আহমেদ, সরকার আলম, নাজমুল হক, চঞ্চল মাহমুদ, মহিউদ্দিন শিশির, নজরুল ইসলাম সরদার, শাহাদুল্লাহ মুকুল, আল আমিন প্রধান, লিংকন খান, এডভোকেট শেখ আনজুম আহমেদ রিফাত, সাইফুল ইসলাম বাবু, হিরা সরদার, ইকবাল হোসেন, সোহেল খান বাবু, নজরুল ইসলাম, মহিলা দলের সভানেত্রী দিলারা মাসুদ ময়না, কলাগাছিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি শাহাদুল্লাহ মুকুল, সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম, গোগনগর বিএনপির সভাপতি আক্তার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন মিয়াজী, আলীরটেক ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আঃ রহমান, সিনিয়র সহ-সভাপতি জুলহাস সরদার, সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন, মুছাপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি তাঁরা মিয়া, সাধারণ সম্পাদক শাহিন আহমেদ, ধামগড় ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি জাহিদ খন্দকার, সাধারণ সম্পাদক মহসিন মিয়া, মদনপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মামুন ভূইয়া, সাধারণ সম্পাদক শাহেন শাহ্ মিঠু, বন্দর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি রাজু আহম্মেদ, সাধারণ সম্পাদক মাসুদ রানা, মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুর রহমান সাগর, সাধারণ সম্পাদক রাহিদ ইসতিয়াক শিকদার, মহানগর ওলামা দলের সভাপতি হাফেজ মামুনসহ অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।