নারায়ণগঞ্জ মেইল: কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে সিদ্ধিরগঞ্জের চিটাগাং রোড এলাকায় মহাসড়কে অবস্থান নিতে চাইলে নারায়ণগঞ্জ বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ ঘটনা ঘটেছে।
এসময়ে পুলিশ সর্টগানের গুলি ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।
আহতদের মধ্যে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু, নারায়ণগঞ্জ সদর থানা বিএনপির সভাপতি মাসুদ রানা, ফতুল্লা থানা বিএনপির সভাপতি শহিদুল ইসলাম টিটু, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন শিকদার, আড়াইহাজার পৌরসভা বিএনপি’র সভাপতি মোহাম্মদ উল্লাহ লিটন, যুবদল নেতা আজিজুল ইসলামের নাম জানা গেছে।
এছাড়াও সংঘর্ষে ছোড়া ইট পাটকেলে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) গোলাম মোস্তফা আহত হয়েছেন। তিনি বুকে ও পায়ে আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে স্থানীয় ক্লিনিকে চিকৎসা নিয়েছেন।
এসময়ে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খান, নারায়ণগঞ্জ সদর থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এড. এইচ এম আনোয়ার প্রধান, মহানগর যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সাগর প্রধান ও অজ্ঞাতনামা ২ বিএনপি নেতাসহ ৫জনকে আটক করা হয়েছে।
কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসুচির অংশ হিসেবে শনিবার শনিবার (২৯ জুলাই) সকাল থেকে বিএনপির নেতাকর্মীরা শিমরাইল ডাচবাংলা ব্যাংক এলাকায় অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করে। কিন্ত পুলিশের বাধায় তারা মহাসড়কে উঠতে পারেনি। ফলে পুলিশের ব্যারিকেডের মধ্যেই তারা সরকার বিরোধী নানা শ্লোগান দিতে থাকে।
এক পর্যায়ে বিএনপির নেতাকর্মীরা পুলিশের বাঁধা অতিক্রম করে মহাসড়কে অবস্থান নিতে চাইলে পুলিশ বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে ডাচবাংলা ব্যাংক এলাকায় লাঠিচার্জ করে পুলিশ। পাল্টা বিএনপির নেতাকর্মীরা পুলিশকে লক্ষ করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। উভয়ের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়।
পরে পুলিশের সর্টগানের গুলির কাছে টিকতে না পেরে ছত্রভঙ্গ হয়ে যায় বিএনপির নেতাকর্মীরা। এসময় পুলিশ ছোড়া সর্টগানের গুলিতে বিএনপি’র ১০নেতাকর্মী গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছে।
এপর্যায়ে মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খানসহ নেতাকর্মীদের টেনে হেঁচড়ে ডিবি পুলিশ গাড়ি তুলে।
এবিষয়ে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু বলেন, পুলিশ আমাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে পালন করতে গেলে বাঁধা দেয় এবং নেতাকর্মীদের উপর লাঠিচার্জ ও গুলিবর্ষণ করে। এতে আমিসহ বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, পুলিশ আমাদের মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খান, সদর থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এড. এইচ এম আনোয়ার প্রধান, মহানগর যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সাগর প্রধানসহ ৫জনকে আটক করে নিয়ে যায়।
মহানগর বিএনপির পক্ষ থেকে এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। অবিলম্বে এড. সাখাওয়াত হোসেন খানসহ গ্ৰেপ্তার নেতাকর্মীদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবি করছি।
এবিষয়ে নারায়ণগঞ্জ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ( প্রশাসন ) চাউলাউ মারমা জানান, বিএনপির নেতা-কর্মীরা বিনা অনুমতিতে সড়ক অবরোধের চেষ্টা করলে পুলিশ সেখানে যায়। এসময় বিএনপির নেতাকর্মীরা তর্কাতর্কির এক পর্যায়ে তারা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছুড়ে। এতে পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করতে রাবার বুলেট ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে। সেখান থেকে বেশ কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে।