নারায়ণগঞ্জ মেইল: শহরের চাষাঢ়ায় ফায়ার সার্ভিসের চলন্ত গাড়িতে স্ট্রোক করে ওই গাড়ির চালক জাহাঙ্গীর আলম নিহত হয়েছেন। এসময় গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সামনে থাকা আনন্দ পরিবহনের যাত্রীবাহি বাস, একটি প্রাইভেটকার, তিনটি ব্যাটারী চালিত অটোরিকশাকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই আনন্দ বাসের চাকার নিচে পিষ্ট হয়ে এক রিকশা চালক নিহত হয়। এছাড়াও ব্যাটারী চালিত অটোরিকশার ৮ যাত্রী আহত হয়েছেন।
আহতেদর আশপাশের লোকজন উদ্ধার করে শহরের খানপুরে অবস্থিত ৩০০ শয্যা বিশিষ্ট নারায়ণগঞ্জ হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে তাদের অবস্থার আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে নিহত রিকশা চালকের মরদেহ আনন্দ পরিবহনের গাড়ির প্লেট কেটে বের করা হয়েছে। তার নাম সিরাজুল ইসলাম (৪৫)। তিনি মিশুকরিকশা চালক ছিলেন।
মঙ্গলবার (২৪ জুলাই) দুপুরের দিকে সিরাজুলকে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে নিয়ে এলে জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক পরীক্ষা পরে তাকে মৃত ঘোষণা করেন। চিকিৎসক জানান, হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই তিনি মারা গেছে। সিরাজুলকে ব্রডডেট দেখানো হয়েছে।
সিরাজুলকে হাসপাতালে নিয়ে আসা অপর মিশুকচালক মো. সোহেল জানান, আনুমানিক বেলা ১১টার দিকে ফতুল্লা চাষাড়া এলাকায় ফায়ার সার্ভিসের একটি গাড়ি দুটি মিশুককে চাপা দেয়। এসময় মিশুক চালক সিরাজুল গুরুতর আহত হয়। সেখান থেকে তাকে প্রথমে খানপুর হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
মৃত সিরাজুলের মেয়ের জামাই মকবুল হোসেন জানান, তাদের বাড়ি দিনাজপুর জেলার সেতাবগঞ্জ উপজেলার মোল্লাপাড়া গ্রামে। বর্তমানে নারায়ণগঞ্জ ফতুল্লার মাজদাইল এলাকায় থাকতেন তার শ্বশুর সিরাজুল। মিশুক চালিয়েই জীবন নির্বাহ করতেন তিনি।
এ ব্যাপারে ফায়ার সার্ভিস ঢাকা সদর দপ্তরের উপ-পরিচালক আক্তারুজ্জামান জানান, কী কারণে তাদের গাড়ির চালক জাহাঙ্গীর আলমের মৃত্যু হয়েছে তা ময়না তদন্তের প্রতিবেদনের পর নিশ্চিত করে বলা যাবে। তবে চলন্ত গাড়িতে চালক জাহাঙ্গীর আলম স্ট্রোক করে মারা গেছেন বিষয়টি গাড়িতে তার সঙ্গে থাকা অপর আরেক কর্মী জানিয়েছেন।