নারায়ণগঞ্জ মেইল: নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু বলেছেন, আপনারা দেখেছেন কয়েকদিন আগে একটি পত্রিকায় হেডলাইন হয়েছিল যে ছাত্রলীগ ফুল টাইম রাজনীতি আর পারটাইমস ছিনতাই। আওয়ামী লীগের ইতিহাস ছাত্রলীগের ইতিহাস যুবলীগের ইতিহাস চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, ধর্ষণের ইতিহাস। যতবারই আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এসেছে দেশে দুর্ভিক্ষ দেখা দিয়েছে। যতবারে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসেছে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ঘটেছে। যতবারই আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় এসেছে দেশের অর্থনীতিকে পঙ্গু করে দিয়েছে। আজকে তারা কয়েকটি ফ্লাইওভার আর পদ্মা সেতু করে মনে করে বাংলাদেশের ২০ কোটি মানুষের ক্ষুধা নিবারণ হয়েছে। তা হতে পারে না। আজকে যখন মানুষ বাজারে যায় মানুষ দিশেহারা হয়ে যায়। হাজার টাকার নোট নিয়ে বাজার করতে গেলে চোখের পানি ফেলে মানুষ চলে আসে। এক সময় ১৫ ই আগস্ট আসলে আওয়ামী লীগ পোস্টার ব্যানারে লিখতো কাঁদো বাঙালি কাঁদো। কিন্তু এখন আর বাঙালিকে কাঁদাতে হয় না। এখন বাজারে গেলে এমনিতেই বাঙালি কেঁদে ফেলে। দ্রব্যমূল্যের এমন ঊর্ধ্বগতি করে ফেলেছে যে সাধারণ মানুষের জীবন যাত্রা আর চলে না।
নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপি ও নারায়ণগঞ্জ সদর থানা বিএনপি’র আওতাধীন ১৪নং ওয়ার্ড বিএনপি’র সম্মেলনে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি এসব কথা গুলো বলেন। শনিবার ( ২০ মে ) বিকেল শহরের নন্দীপাড়া এলাকায় এ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
তিনি বলেন, আমার নেতা তারেক রহমানের নির্দেশে মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য রাজপথে বুকে তাজা রক্ত দিয়ে হল ফ্যাসিবাদী শেখ হাসিনা সরকারের পতন ঘটাতে চাই। আপনারা প্রস্তুত থাকুন। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান যেভাবে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন তেমনিভাবে আমার নেতা তারেক রহমানও ফ্যাসিস শেখ হাসিনা সরকার পতনের আন্দোলনের ডাক দিবেন। সেই আন্দোলনের যুদ্ধে অংশগ্রহণের জন্য আপনারা সবাই প্রস্তুত থাকবেন।
তিনি আরও বলেন, আজকে একে একে মহানগরের প্রত্যেকটি ওয়ার্ডের মাধ্যমে কমিটি হচ্ছে। আগামীতে নারায়ণগঞ্জ সদর থানা ও ও বন্দর থানা এবং উপজেলা সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। এরপর নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। সম্মেলনের মাধ্যমে মহানগর বিএনপির কমিটি গঠন করতে চাই। সাখাওয়াত – টিপুরা পদ আঁকড়ে ধরে রাখতে চায় না। সম্মেলনের মাধ্যমে আমাদের মেধা দক্ষতা ও যোগ্যতা দিয়ে যদি আমরা পারি তাহলে আমরা প্রেসিডেন্ট সেক্রেটারি হব। আমাদের সাথে যদি কেউ প্রতিদ্বন্দিতা করে করতে পারে। আমরা রাজপথে ছিলাম আছি এবং থাকবো। যারা রাজপথে আছে এবং থাকবে তারাই আগামীতে মহানগর বিএনপির কমিটিতে আসবে এবং তৃণমূল তাদের নেতৃত্বে বেছে নিবেন। এবং তারাই মূল্যায়িত হবে। আমরা একজনের আদর্শের রাজনীতি করি শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের। আমরা একটি পরিবারের রাজনীতি করি সেটি হলো জিয়া পরিবারের। আমরা তারেক রহমানের নেতৃত্বে রাজনীতি করি। কোন ব্যক্তি বা ভাইয়ের রাজনীতি করি না।
সম্মেলন শেষে হাজী মনির হোসেনকে সভাপতি ও হারুনুর রশিদ রানাকে সাধারণ সম্পাদক এবং শওকত হোসেনকে সাংগঠনিক সম্পাদক করে নারায়ণগঞ্জ মহানগর ১৪নং ওয়ার্ড বিএনপির কমিটি ঘোষণা করেন মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু।
মহানগর ১৪নং ওয়ার্ড বিএনপির সমন্বয়ক হাজী মনির হোসেনের সভাপতিত্বে ও সহ- সমন্বয়ক হারুনুর রশিদ রানার সঞ্চালনায় প্রধান বক্তা মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু, উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক এড. জাকির হোসেন, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আহ্বায়ক এড. সরকার হুমায়ূন কবির, যুগ্ম আহ্বায়ক মনির হোসেন খান, যুগ্ম আহ্বায়ক আনোয়ার হোসেন আনু, যুগ্ম আহ্বায়ক ফতেহ রেজা রিপন, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য এড. রফিক আহমেদ,নারায়ণগঞ্জ সদর থানা বিএনপির আহ্বায়ক মাসুদ রানা, সদস্য সচিব এড. এইচ এম আনোয়ার প্রধান।
এছাড়াও আরও উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মাহমুদুর রহমান, মাকিত মোস্তাকিম শিপলু, নারায়ণগঞ্জ সদর থানা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক শেখ সেলিম আহমেদ, মহানগর শ্রমিকদলের সদস্য সচিব ফারুক হোসেন, নারায়ণগঞ্জ সদর থানা শ্রমিকদলের সাধারণ সম্পাদক কামাল হোসেন, মহানগর ওলামা দলের সভাপতি হাফেজ মামুন প্রমুখ।