মনোনয়নপত্র জমা দিয়ে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি সাবেক জেলা পরিষদের প্রশাসক বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হাই বলেন, নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের দলীয় মনোনয়ন সংগ্রহ করেছি এবং আজকে জমা দিয়েছি। আমি আশাবাদী দলীয় প্রধান বঙ্গবন্ধুর কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাকে মূল্যয়ান করবেন এবং দলীয় মনোনয়নে মনোনীত করবেন। বঙ্গবন্ধুর কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত। তিনি যাকে মনোনয়ন দেবেন তাকে নিয়েই কাজ করবো। আমি রাজনীতি করি দলের জন্য, দলের যে কোন সিদ্ধান্ত মাথা পেতে মেনে নিতে হবে। আমি সকলের কাছে দোয়া প্রার্থনা করছি।
তিনি আরও বলেন, ছাত্র জীবনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাত ধরেই আমার রাজনীতির পথচলা। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বুকের মধ্যে ধারণ ও লালন করে এখনও আওয়ামীলীগের রাজনীতি করছি। ২০০৮ সালে আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর বঙ্গবন্ধুর কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাকে মূল্যায়িত করে নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের প্রশাসক হিসাবে দায়িত্ব দেন। সেই দায়িত্ব আমি অন্তত সৎ ও নিষ্ঠার সাথে পালন করেছিলাম। পরবর্তী তিনি আমাকে জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতির মতো গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দেন। এই দায়িত্বও সৎ ও নিষ্ঠার সাথে পালন করছি। নেত্রী যদি আমাকে আবারও জেলা পরিষদের দায়িত্ব দেন তাহলে নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদকে একটি ডিজিটাল ও দূর্নীতি মুক্ত জেলা পরিষদ হিসাবে গড়ে তুলবো।
এসময়ে আরও উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের শিল্প ও বানিজ্য বিষয়ক সম্পাদক এস এম জাহাঙ্গীর, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক শেখ সাইফুল ইসলাম, সদস্য সচিব মতিউর রহমান, জামপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি ও চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির, রূপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ- প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক মো. তানভীর হাই, বন্দর উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি আক্তার হোসেন বিএ, নারায়ণগঞ্জ সদর থানা আওয়ামীলীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক জসিম উদ্দিন আহমেদ, আওয়ামী লীগ নেতা মো. শাহজাহানসহ জেলা ও উপজেলা এবং ইউনিয়ন পর্যায়ে আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ।