নারায়ণগঞ্জ মেইল: নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির বর্তমান কমিটি ভেঙ্গে দেওয়া এখন শুধু সময়ের ব্যাপার। সভাপতি ্এডভোকেট আবুল কালাম অসুস্থ্য হয়ে বর্তমানে বিছানায় আর সাধারণ সম্পাদক এটিএম কামাল বহিস্কার হওয়ায় ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আ: সবুর সেন্টুর নেতৃত্বে কোনোরকমে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে মহানগর বিএনপির কার্যক্রম। তাই যে কোনো এ্ ভেঙ্গে দিয়ে আহবায়ক কমিটি গঠন করা হতে পারে বলে জানা গেছে বিভিন্ন সূত্রে।
এদিকে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির নতুন কমিটির আহবায়ক প্রায় চুড়ান্ত। বর্তমান কমিটির সিনিয়র সহ সভাপতি এডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খানকেই এ দায়িত্ব দেয়া হচ্ছে বলে বেশ কয়েকটি নির্বরযোগ্য সূত্র থেকে জানা গেছে। তবে সাখাওয়াতের সঙ্গী হিসেবে মহানগর বিএনপির বিএনপির সদস্য সচিব হওয়ার দৌড়ে রয়েছেন বেশ কয়েকজন উদীয়মান নেতা। এদের মাঝে উল্লেখযোগ্য হলেন বর্তমান কমিটির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আ: সবুর সেন্টু, মহানগর যুবদলের সাবেক সভাপতি মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ, মহানগর যুবদলের আহবায়ক মমতাজউদ্দিন মন্তু, জেলা জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের যুগ্ম সম্পাদক এডভোকেট এইচএম আনোয়ার প্রধান, মহানগর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি আবুল কাউসার আশা প্রমূখ।
সূত্রে প্রকাশ, দীর্ঘ প্রায় ১৫ বছরের সরকার বিরোধী আন্দোলন সংগ্রামে নারায়ণগঞ্জে গুরুত্বপূর্ন অবদান রয়েছে এডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খানের। পুলিশের হামলা মামলাকে উপেক্ষা করে রাজপথে ছিলো তার অনড় অবস্থান। এজন্য জেলও খেটেছেন বহুবার কিন্তু ঘরে বসে থাকেননি। এছাড়াও বিএনপির নেতাকর্মীদের রাজনৈতিক মামলাগুলোতে বিনা পয়সার আইনী লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন এই আইনজীবী নেতা। ফলে মহানগর বিএনপির আহবায়ক পদে অটোমেটিক চয়েজ এখন সাখাওয়াত।
এদিকে সাখাওয়াতের সঙ্গী হিসেবে মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব হতে জোর তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছেন অনেকে। তবে এপদে বর্তমান ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আ: সবুর সেন্টু ও মহানগর যুবদলের সাবেক সভাপতি মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদের সম্ভাবনা প্রবল। এদের দুজনের যে কেউ হতে পারেন মহানগর বিএনপির নতুন কমিটির সদস্য সচিব। তবে মহানগর যুবদলের আহবায়ক মমতাজউদ্দিন মন্তু, জেলা জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের যুগ্ম সম্পাদক এডভোকেট এইচএম আনোয়ার প্রধান কিংবা মহানগর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি আবুল কাউসার আশারও এ পদে চলে আসার জোর সম্ভাবনা রয়েছে।