নারায়ণগঞ্জ মেইল: নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যায় লঞ্চডুবির ঘটনায় আরও একজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ নিয়ে উদ্ধার হলো আট যাত্রীর মরদেহ। এদিকে প্রায় ১৬ ঘণ্টা পর উদ্ধার করা হয়েছে নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যায় পণ্যবাহী জাহাজের ধাক্কায় ডুবে যাওয়া যাত্রীবাহী লঞ্চটি।
সোমবার (২১ মার্চ) ভোর সাড়ে ৫টার দিকে লঞ্চটি উদ্ধার করে জাহাজ প্রত্যয়। ভেতরে কোনো মরদেহ আছে কি না, তার খোঁজে চলছে তল্লাশি। নিখোঁজ ব্যক্তিদের সন্ধানে চলছে ফায়ার সার্ভিসের অভিযান। সময় যত গড়াচ্ছে, তত উদ্বেগ আর আতঙ্ক বাড়ছে স্বজনদের।
রাতভর চেষ্টার পর অবশেষ উদ্ধার করা হয়েছে নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যায় জাহাজের ধাক্কায় ডুবে যাওয়া যাত্রীবাহী লঞ্চটি। উদ্ধারকারী জাহাজ প্রত্যয়ের মাধ্যমে সোমবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে লঞ্চটি টেনে তোলার পর কূলে নিয়ে আসা হয়।
এ সময় তীরে অপেক্ষমাণ নিখোঁজ ব্যক্তিদের স্বজনরা ভিড় করেন। সময় যত বাড়ছে, ততই অজানা আতঙ্ক ভর করছে তাদের মনে। এর আগে রোববার দুপুর ২টার দিকে নারায়ণগঞ্জের কেন্দ্রীয় লঞ্চ টার্মিনাল থেকে মুন্সীগঞ্জের উদ্দেশে যাত্রা করে মাঝারি আকারের যাত্রীবাহী লঞ্চ ‘এম এল এম আফসার উদ্দীন’।
কয়লাঘাট এলাকায় পৌঁছলে লঞ্চটিকে পেছন থেকে ধাক্কা দেয় ওই পণ্যবাহী জাহাজটি। এ সময় লঞ্চ থেকে ইশারা আর চিৎকার দিয়ে মাস্টারের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করা হলেও কোনো কাজে আসেনি বলে জানান দুর্ঘটনা থেকে প্রাণে বেঁচে যাওয়া যাত্রীরা।
বিআইডব্লিউটিএ বলছে, পণ্যবাহী জাহাজের মাস্টারের অসতর্কতার কারণেই এ দুর্ঘটনা। তবে লঞ্চচালকও নির্দেশনা মানেননি। ধাক্কা দেওয়া জাহাজটিকে নেওয়া হয়েছে পুলিশ হেফাজতে। আটক করা হয়েছে বেশ কয়েকজন কর্মচারীকে। নৌ-দুর্ঘটনার শাস্তি নিশ্চিত করতে নতুন আইন করার দাবি জানান মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য মৃণাল কান্তি দাস। তিনি বলেন, মুন্সীগঞ্জ থেকে শুরু করে নদীর দুই পাড়ে অপরিকল্পিতভাবে গড়ে ওঠা শিল্প-কারখানাগুলোর জাহাজ যত্রতত্র নদীতে নোঙর করে রাখে। বিভিন্ন ট্যাংকার এদিকে চলাচল করে। যে লঞ্চগুলো এখানে চলাচল করে, সেগুলোও ফিটনেসবিহীন।
ইতোমধ্যে ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করেছে বিআইডব্লিউটিএ।