সংবাদ বিজ্ঞপ্তি : সাচ্চা বিএনপির নেতাকর্মীরা আইভীকে সমথর্ন করতে পারেনা বলে মন্তব্য করেছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির অন্যতম সদস্য ও জেলা বিএনপির সাবেক সহ- সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল আমিন শিকদার।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে রুহুল আমিন শিকদার বলেন, আমার বাড়ি সিটি কর্পোরেশন এলাকায় মধ্যে নয়। কিন্তু নারায়ণগঞ্জ শহর থেকে খুব বেশী দূরেও নয়। শহরের পার্শ্ববর্তী ফতুল্লা থানা এলাকায় আমার বসবাস। উনি তো সেই আইভী, যে আইভী ২০০১ থেকে ২০০৬ পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির কার্যালয়ের সমানে বিনা বাধায় মিছিল মিটিং করেছে। এরপর ২০০৮ সালে আইভীর দল আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় আশার পর জেলা বিএনপির সেই কার্যালয় বুলডোজার দিয়ে ভেঙে দিয়েছে ( দুই বছরের মধ্যে কার্যালয় ফিরিয়ে দিবে বলে)। আজ প্রায় ১০ বছর অতিবাহিত হতে চলেছে তথাপি কার্যালয় ফিরিয়ে দেয়ার কোন লক্ষ্মণ নেই। উল্টো ডিআইটি এলাকায় বিএনপির মিছিল মিটিং এ নিষেধাজ্ঞা জারি করে রেখেছেন আইভী।
রুহুল আমিন শিকদার আরও বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবিতে চাষাঢ়া শহীদ মিনারে সভা সমাবেশ করার অনুমতি দেননি তিনি। অপরদিকে নারায়ণগঞ্জের সবার জন্য চাষাড়াস্থ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার উম্মুক্ত থাকলেও বিএনপির জন্য নিষিদ্ধ। এই আইভীর জন্য নারায়ণগঞ্জে অনেক নেতা কর্মী মায়া কান্না কাঁদে, এটা কিন্তু ঠিক না। ঠিক আছে আইভী এন্ট্রি ওসমান পরিবার।
৯৬ থেকে ২০০১ পর্যন্ত আমারা কিন্তু ওসমান পরিবারের সাথে সমান তালে মোকাবেলা করেছি।অথচ আইভীর সময় কি আমরা সেভাবে মোকাবেলা করতে পারছি? পারি নাই।
আমি মনে করি আইভীর সময়ে আমরা আরো বেশি নির্যাতিত হয়েছি। সুতরাং শুধু এন্ট্রি ওসমান পরিবার বিরোধী বলে আমি আইভীকে সমথর্ন করতে পারিনা।
উল্লেখ্য, কথা গুলো মধ্যে কোনটি অসত্য বলেছি প্রমান করতে না পারলে আপনি নৌকার আইভীকে সমথর্ন করতে পারেন না। সর্বশেষ দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশ চিকিৎসার জন্য আইভীর কাছে শহীদ মিনারে অনশন করার জন্য অনুমতি চাইলে তিনি অনুমতি দেননি। এই নৌকা মার্কা আইভীকে বিএনপির নেতাকর্মীরা শুধু এন্ট্রি ওসমান পরিবার মনে করে সমর্থন করা যায় না।