নারায়ণগঞ্জ মেইল: নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার হিসেবে জায়েদুল আলম যোগদানের পরই পুলিশের প্রতি আস্থা বেড়েছে নারায়ণগঞ্জবাসীর। জায়েদুল আলম নারায়ণগঞ্জে যোগদানের পরই বিতর্কিত ও সুবিধাভোগী পুলিশ সদস্যরা নারায়ণগঞ্জ ছেড়ে অনত্র বলদী হয়েছে। করোনা পরিস্থিতিতেও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছে পুলিশ সদস্যরা। পুলিশ সুপার জায়েদুল আলমের কঠোর পরিশ্রমের কারণে পুলিশী সেবা শতভাগ পেয়ে আসছিল সাধারণ মানুষ। অথচ পুলিশ সুপারের প্রচেষ্টায় গড়ে উঠা জেলা পুলিশের ইমেজ ক্ষুন্ন করছেন ফতুল্লা মডেল থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) শফিকুল ইসলাম। ইন্সপেক্টর শফিক আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্য হলেও বেআইনী কাজে ব্যস্ত রয়েছেন রয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। পিএসআই থেকে ইন্সপেক্টর পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন থানায় কর্মরত ছিলেন শফিক। সর্বশেষ জেলা গোয়েন্দা পুলিশে কর্মরত থাকা অবস্থায় ফতুল্লা মডেল থানায় ইন্সপেক্টর (তদন্ত) হিসেবে বদলী হয় শফিকুল ইসলামের। এরপরই বেপরোয়া হয়ে উঠাসহ বেআইনী কাজ করে দাপট দেখাচ্ছেন তিনি। নানা বিতর্কিত কর্মকান্ড করার পরও শফিকের বিরুদ্ধে কোন প্রকার ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। শফিক নিজেই বলে বেড়ান, এসপি স্যার আমাকে পছন্দ করেন।
অভিযোগে রয়েছে, অভিযান চালিয়ে গত ৫ ফেব্রুয়ারী মাদকসহ মাদক ব্যবসায়ীদের গ্রেফতার করা হয়েছিল। গ্রেফতারের পর মাদক ব্যবসায়ীদের একটি প্রাইভেট কার (ঢাকা মেট্রো গ- ২৫ -৮৪১৭) জব্দ করেছিল পুলিশ। এরপর থেকেই ঐ প্রাইভেট কারটি ব্যক্তিগত ভাবে ব্যবহার করে আসছেন ইন্সপেক্টর শফিক। কোর্টের অনুমতি ছাড়া বেআইনীভাবে দীর্ঘদিন ধরে ব্যবহার করলেও তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয় হয়নি। তবে বিষয়টি সাংবাদিক মহলে জানাজানির পর গতকাল কোর্টে দৌড়ঝাঁপ করছেন ইন্সপেক্টর শফিক।
এছাড়াও অভিযোগে রয়েছে, থানার গুরুত্বপূর্ণ মামলা বাদ দিয়ে ইনকাম হবে এমন মামলার তদন্তের দায়িত্ব নেন ইন্সপেক্টর শফিক। যা নিয়ে থানার অন্যান্য অফিসাররা সমালোচনা করে আসছে। চাঁনমারী স্ট্যান্ডে ইন্সপেক্টর শফিকের তিনটি গাড়ি রয়েছে। গাড়ি তিনটি ইন্সপেক্টর শফিকের তা নিশ্চিত হলেও কাগজপত্র কার নামে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে জব্দকৃত গাড়ির বিভিন্ন মালামাল নিজ গাড়িতে লাগিয়েছেন বলেও জানাগেছে। অভিযোগে আরো রয়েছে, থানার উন্নয়ণ কাজের নামে বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠানের মালিকদের কাছ থেকে টাকা আদায় করা হচ্ছে। মূলত ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাস্ত কর্মকর্তা সদ্য যোগদান করায় ইন্সপেক্টর শফিক নিজ মনমত বেআইনী কাজে ব্যস্ত রয়েছে।
সর্বশেষ সবচেয়ে বেশি আলোচনায় ছিল ফতুল্লার কাঠেরপুল এলাকায় প্রাইভেট কার রাস্তার রং সাইডে গাড়ী ঢুকানোর কারণে যানজট সৃষ্টি হলে তা নিয়ে প্রতিবাদ করায় যুবককে হকিষ্টিক দিয়ে পিটিয়ে দুই হাত ভেঙ্গে দেয়ার মামলাটি। মামলার ৩নং আসামী দুর্ধর্ষ মোল্লা জনিকে বাঁচাতে মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব নেন শফিক নিজেই। এরপর আসামীদের গ্রেফতার না করে পোগন আতাঁত করার অভিযোগ রয়েছে শফিকের বিরুদ্ধে। এমনটি ইন্সপেক্টর শফিকের কৌশলের কারণে আহত যুবক কামাল হোসেন মিমাংশা করতে বাধ্য হয়েছে। আসামীরা বাদীর বাড়িতে গিয়ে হত্যার হুমকি দিলেও নিশ্চুপ ছিলেন মামলার তদন্তকারী কর্তকর্তা ইন্সপেক্টর শফিক।
এ বিষয়ে জেলা পুলিশ সুপার জায়েদুল আলম নারায়ণগঞ্জ মেইলকে জানান, জব্দকৃত গাড়ি কোর্টের অনুমতি ছাড়া চালানো বেইনী। যদি এমন কেউ করে থাকে তাহলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।