নারায়ণগঞ্জ মেইল: একটি বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংকের কল সেন্টারে লোকবল নিয়োগ দেওয়া হবে। কল সেন্টারের তরুণ নির্বাহী কর্মকর্তা দেখলেন ১০ জন প্রার্থীর বিপরীতে আবেদন জমা পড়েছে প্রায় আট হাজার। ২০১৯ সালের কভিড-পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান যখন কর্মী ছাঁটাই করছিল, তখন তাঁর প্রতিষ্ঠান ১০ জনের কর্মসংস্থানের সুযোগ দিচ্ছে ভেবে ভালোই লাগছিল। কিন্তু বাকিদের জন্যও তাঁর মন খারাপ হয়। ভাবনায় পড়ে গেলেন তিনি; কী করা যায় শিক্ষিত এই বেকারদের জন্য। মাথায় এলো ফ্রিল্যান্সিংয়ের কথা। তবে তিনি নিজেই জানেন না ফ্রিল্যান্সিংয়ের অ-আ, ক-খ। ঠিক করলেন নিজেই নেবেন ফ্রিল্যান্সিংয়ের পাঠ। করোনার সময়ে মোটামুটি ভালোই নিলেন ফ্রিল্যান্সিংয়ের পাঠ। কাজও করতে থাকেন।
একসময় দেখলেন তাঁর ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে জমা হলো প্রায় ৬ হাজার ডলার! ডাটা এন্ট্রি দিয়ে শুরু করলেও নিজেই আয়ত্ত করলেন নিত্যনতুন সব স্কিল। তারপর নিজের শেখাটা কাজে লাগিয়ে দক্ষ বেকারদের বিনামূল্যে প্রশিক্ষিত করে গড়ে তুললেন ওয়ার্ক ম্যানেজমেন্ট নেটওয়ার্ক। ব্যাংকের চাকরির পাশাপাশি শুরু হয় তাঁর ফ্রিল্যান্সিং সাফল্য। তঁাঁর তত্ত্বাবধানে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে প্রশিক্ষিত হয়ে দেশে এবং দেশের বাইরে ছড়িয়ে আছেন প্রায় দশ হাজারের বেশি সফল ফ্রিল্যান্সার। বলছি কায়েস হোসেনের কথা। ব্যক্তি এবং কর্মজীবনে তিনি পেয়েছেন ঈর্ষণীয় সাফল্য, পাশাপাশি অসংখ্য শিক্ষিত বেকারকে সাফল্য পেতে করেছেন প্রত্যক্ষ সহায়তা।
কায়েসের কাছ থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে অনেকেই ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে বেশ সাফল্য পাচ্ছিলেন; এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রমও দেখা গেল। অনেকেই আবার ইংরেজি ভাষাগত দুর্বলতা এবং যোগাযোগ দক্ষতার অভাবে ঠিকমতো কাজ পাচ্ছিলেন না। এ সমস্যার সমাধানে কায়েস প্রতিষ্ঠা করেন ড্রিম ডুয়ার্স ডটনেট। দেশের বেকার তরুণদের ফ্রিল্যান্সিং দক্ষতা বাড়াতে কাজ করতে চান। শুধু তাই নয়, ফ্রিল্যান্সিংকে সহজবোধ্য ও জনপ্রিয় করতে বিভাগীয় পর্যায়ে আয়োজন করতে চান প্রশিক্ষণ কর্মশালার। কায়েসের কাছ থেকে ফ্রিতে ফ্রিল্যান্সিং শিখতে পারেন তার Youtube.com/allaboutfreelancing- এই ইউটিউব চ্যানেল অনুসরণ করে। চাইলে ফলো করতে পারেন তাঁর https://www.facebook.com/kayas.hossain ফেসবুক প্রোফাইলও।