নারায়ণগঞ্জ মেইল:: নারায়ণগঞ্জ-৩ আসন থেকে বিএনপির প্রাথমিক মনোনয়ন তালিকায় থাকা উপজেলা বিএনপির সভাপতি আজহারুল ইসলাম মান্নানের পুত্র খায়রুল ইসলাম সজিবের সাথে একাধিক গণহত্যা মামলার আসামি নোয়াগাঁও ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক পার্টির যুগ্ম সম্পাদক এবং ৩ নং ওয়ার্ড যুব সংহতির সভাপতি আরমানের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। ২০২৪ সালের জুলাই আগস্টে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিরীহ ছাত্র জনতার উপর নির্বিচারের গুলি চালিয়ে হত্যার অভিযোগে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ এবং আড়াইহাজার থানায় আরমানের বিরুদ্ধে রয়েছে একাধিক গণহত্যার মামলা।
বিএনপি’র প্রাথমিক মনোনয়ন তালিকায় মান্নানের নাম আসার পর থেকেই স্থানীয় আওয়ামী লীগ এবং জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন মান্নান পুত্র সজিব- এমনটাই জানা গেছে স্থানীয় সূত্রে। মান্নান এবং তার পুত্র সজীবের এ ধরনের কর্মকাণ্ডে নিন্দার ঝড় বয়ে যাচ্ছে নারায়ণগঞ্জ-৩ নির্বাচনী আসনে।
সজীবের পিতা আজহারুল ইসলাম মান্নান মনোনয়ন পাওয়ার পর থেকে স্থানীয় আওয়ামী লীগ এবং জাতীয় পার্টির কর্মীদেরকে নিয়ে সজীব বিভিন্ন জায়গায় তিন নভেম্বর বিএনপির প্রাথমিক মনোনয়ন তালিকা ঘোষণার পরে মান্নানপুত্র সজীব সাথে আরমানের এই ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নারায়ণগঞ্জের গডফাদার ওসমান পরিবারের আশীর্বাদে সোনারগাঁয়ের এমপি হওয়া লিয়াকত হোসেন খোকার ঘনিষ্ঠজন হিসেবে পরিচিত ছিলেন নোয়াগাঁও ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক পার্টির যুগ্ম সম্পাদক আরমান মিয়া। খোকার নাম ভাঙ্গিয়ে গত ১৫ বছর নোয়াগাঁও এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিলেন আরমান। সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, ভূমিদস্যুতা থেকে শুরু করে এমন কোনো অপরাধ নাই যা তিনি করেননি। ২০২৪ সালের জুলাই আন্দোলনে ছাত্র-জনতার উপর হামলা চালিয়েছেন আরমান। সোনারগাঁ এবং আড়াইহাজার থানায় চারটি গণহত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি আরমান।
৩ নভেম্বর বিএনপির প্রাথমিক মনোনয়ন তালিকা ঘোষণা করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এই তালিকায় নারায়ণগঞ্জ-৩ আসন থেকে আজহারুল ইসলাম মান্নানের নাম ঘোষণা করা হয়। এই ঘোষণার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মান্নানের পুত্র সজিবের সাথে গণহত্যার আসামি আরমানের একটি ছবি পোস্ট করা হয় ফেসবুকে। এই ছবি পোস্ট হওয়ার পর থেকে নিন্দা আর সমালোচনার ঝড় বয়ে যাচ্ছে নারায়ণগঞ্জ-৩ নির্বাচনী আসন জুড়ে।
স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীরা ক্ষোভের সঙ্গে জানান, ৫ আগস্টের পর মান্নানের পুত্র সজীব এবং পিএস সেলিম সোনারগাঁয়ের আওয়ামী লীগ এবং জাতীয় পার্টির দোসরদের সাথে মিলে সোনারগাঁয়ের বিভিন্ন কল কারখানায় চাঁদাবাজির মহোৎসব চালিয়েছেন। এখন আবার নির্বাচনী বৈতরণী পার হওয়ার জন্য স্বৈরাচারের দোসরদের সাথে আঁতাত করছেন। বিএনপির হাই কমান্ডের এসব বিষয়ে দৃষ্টি দেওয়া উচিত। এ ধরনের লোককে মনোনয়ন দেয়া হলে গুরুত্বপূর্ণ এই আসনটি বিএনপিকে হারাতে হতে পারে।
এ বিষয়ে জানতে খাইরল ইসলাম সজীবের মুঠোফোনে (01760606060) কল করা হলে তা বন্ধ পাওয়া যায়।
