ডুয়েল পলিটিক্সের ফাঁদে মান্নান

নারায়ণগঞ্জ মেইল: আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ-৩ (সিদ্ধিরগঞ্জ-সোনারগাঁ) সংসদীয় আসনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী সোনারগাঁ উপজেলা বিএনপির সভাপতি আজহারুল ইসলাম মান্নান ডুয়েল পলিটিক্সের শিকার। তার সাথে এই ডুয়েল পলিটিক্স করেছেন জেলা বিএনপির আহবায়ক অধ্যাপক মামুন মাহমুদ। সোনারগাঁ এবং সিদ্ধিগঞ্জের তৃণমূল নেতাকর্মীদের সাথে কথা বলে এমনটাই জানা গেছে।

সূত্রে প্রকাশ, আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নতুন সীমানা বিন্যাসে সিদ্ধিরগঞ্জ ও সোনারগাঁ থানা নিয়ে গঠিত হয়েছে নারায়ণগঞ্জ-৩ নির্বাচনী আসন। নতুন সীমানা ঘোষণার পর বিপাকে পড়ে যান সোনারগাঁ আসন থেকে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী আজহারুল ইসলাম মান্নান। কারণ এই আসনে আগে থেকেই গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছিলেন জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ গিয়াসউদ্দিন। নতুন সীমানা বিন্যাসের ফলে এই আসনে নতুন করে যোগ হয়ে যান জেলা বিএনপির আহবায়ক অধ্যাপক মামুন মাহমুদ।

নতুন সীমানা বিন্যাসের আগে অধ্যাপক মামুন মাহমুদ নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন। সে অনুযায়ী তিনি ফতুল্লা ও সিদ্ধিরগঞ্জ এলাকায় গণসংযোগ চালিয়ে গেছেন কিন্তু সিদ্ধিরগঞ্জকে সোনারগাঁয়ের সাথে যোগ করে দেয়ায় সিদ্ধান্তহীনতায় পড়ে যান মামুন। নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে নির্বাচন করবেন নাকি নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনে নির্বাচন করবেন- সেই দ্বিধা কাটিয়ে উঠতে পারছিলেন না তিনি।

ঠিক সে সময় সোনারগাঁয়ে একটি রাজনৈতিক জনসভায় জেলা বিএনপির আহবায়ক অধ্যাপক মামুন মাহমুদ ঘোষণা দেন তিনি এমপি হতে আসেননি। তিনি এ আসন থেকে নির্বাচন করবেন না। সেইসাথে সোনারগাঁও উপজেলা বিএনপির সভাপতি আজহারুল ইসলাম মান্নানের জন্য তিনি সবার কাছে ভোট প্রার্থনা করেন।

মামুন মাহমুদের এই ঘোষণায় অনেকটাই নিশ্চিন্ত হন আজহারুল ইসলাম মান্নান এবং সে অনুযায়ী নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে থাকেন কিন্তু হঠাৎই তার মাথায় আবার আকাশ ভেঙ্গে পড়ে। যে মামুন মাহমুদ বলেছিলেন নারায়ণগঞ্জ-৩ আসন থেকে নির্বাচন করবেন না তিনি, সেই তিনিই আবার ঘোষণা দেন তিনি নারায়ণগঞ্জ-৪ এবং নারায়ণগঞ্জ-৪ আসন থেকে মনোনয়ন চাইবেন।

মামুন মাহমুদের এই ডুয়েল গেম বুঝতে পারেননি মান্নান। যার ফলে বেশ বেকায়দায় পড়ে গেছেন তিনি। কারণ ইতিমধ্যে নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের মাঠ-ঘাট চষে বেড়াচ্ছেন জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ গিয়াসউদ্দিন। তাকে মোকাবেলা করতেই হিমসিম খাচ্ছিলেন মান্নান। গিয়াস মোকাবেলায় তিনি পাশে পেয়েছিলেন মামুন মাহমুদকে। এখন মামুন মামুন নিজেই প্রার্থী। তাই বেশ বিপাকেই পড়ে গেছেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি আজহারুল ইসলাম মান্নান। অধ্যাপক মামুন মাহমুদের ডুয়েল পলিটিক্স তাকে বেশ বিপদেই ফেলে দিয়েছে।

নারায়ণগঞ্জ মেইলে এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।

সর্বশেষ