নারায়ণগঞ্জ মেইল নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন বলেছেন, গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়বে, ভোট দিয়ে নিজেদের নেতা নির্বাচন করবে, তার গুরুদ্বায়িত্ব পড়েছে বিএনপির উপর। আপনারা সবাই জানেন, স্বৈরশাসক শেখ হাসিনা ১৬ বছর স্বৈরশাসন চালানোর পর ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছে। দেশটাকে প্রায় ধ্বংস করে দিয়ে গেছে।
সোনারগাঁয়ের বৈদ্যের বাজার ইউনিয়ন-বিএনপি আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সোমবার (২৫ আগস্ট) বিকেলে বৈদ্যের বাজার এলাকায় এই আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় গিয়াসউদ্দিন বলেন, দেশের কোনো রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান দলীয়করণ থেকে রেহাই পায়নি। অর্থনীতি লুণ্ঠন করে বিদেশে পাচার করা হয়েছে। মানুষের দুঃখ-দুর্দশা এমন পর্যায়ে গিয়েছিল যে, সহ্য করা সম্ভব হয়নি। আন্দোলন সংগ্রাম করে সফল না হলেও মানুষ আল্লাহর কাছে ফরিয়াদ করেছে এই ফেরাউনের শাসন থেকে মুক্তি পেতে। অবশেষে আল্লাহর গজব নেমেছে, বিরল ঘটনার সাক্ষী হয়ে জনগণের প্রতিরোধে শেখ হাসিনা স্ব-পরিবারে পালাতে বাধ্য হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, গত বছরের ৫ আগস্টের পর বাংলাদেশ স্বৈরশাসন থেকে মুক্তি পেয়ে নতুন স্বপ্ন দেখতে শুরু করে। শেখ হাসিনার সময়ে অনুষ্ঠিত তিনটি জাতীয় নির্বাচন ছিল প্রহসনের, যেখানে জনগণ মৌলিক ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেনি। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে আমরা গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য লড়েছি। অথচ পরবর্তীতে স্বৈরশাসক এসে গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে। তাই আবারও আমরা গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠায় সংগ্রাম শুরু করেছি।
তিনি দাবি করেন, বিএনপি বছরের পর বছর গুম, খুন, জেল-জুলুম ও নির্যাতন সহ্য করেও গণতন্ত্র রক্ষার লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দীর্ঘদিন দেশের বাইরে আছেন। শাসকযন্ত্র তাকে দেশে ফিরতে দেয়নি। সেখান থেকেই তিনি আন্দোলনে দিকনির্দেশনা দিয়েছেন এবং নেতৃত্ব দিয়ে সফল করেছেন। এখন দেশের সবচেয়ে বড় প্রয়োজন গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা। ফেব্রুয়ারির নির্বাচনের জন্য মানুষ অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে, কবে তারা ভোট দিয়ে নিজেদের পছন্দের প্রার্থীকে নির্বাচিত করবে।
তিনি অভিযোগ করেন, অতীতে যারা অবৈধভাবে বিদেশে টাকার পাহাড় গড়েছে তারা আবারও ষড়যন্ত্রে লিপ্ত, যাতে দেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন না হয়।
আবুল হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সোনারগাঁ থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা খন্দকার আবু জাফর। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোঃ শাহ আলম মুকুল, সোনারগাঁও উপজেলা যুবদলের আহবায়ক সহিদুর রহমান স্বপন, যুগ্ম আহবায়ক আশরাফুল আলম আশরাফ প্রধান, রমজান আলী সরকার, কাজী এনামুল হক রবিন, আফজাল হোসেন, আমির হোসেন মেম্বার, বদিউল আলম মোল্লা, আনোয়ার হোসেন আনোয়ার, রবিউল আলম, ইমদাদুল হক ভুঁইয়া দিপু, ছাত্রনেতা রবিউল ইসলামসহ নেতাকর্মীরা।