নারায়ণগঞ্জ মেইল: যে কোনো সময় ভেঙ্গে দেয়া হতে পারে নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের আওতাধীন থানা কমিটিগুলো। নতুন করে ঢেলে সাজানোর লক্ষ্যে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হচ্ছে বলে জানা গেছে। থানা ছাত্রদলের কমিটিগুলো নিজেদের আধিপত্যে নিয়ে আসতে ইতিমধ্যেই জেলা বিএনপির শীর্ষ অনেক নেতা কেন্দ্রে লবিং চালিয়ে যাচ্ছেন বলেও জানিয়েছে একাধীক সূত্র। তেমনি একজন সোনারগাঁ থানা বিএনপির সভাপতি আজহারুল ইসলাম মান্নান। নিজ বলয়ের লোক দিয়ে সোনারগাঁ থানা ছাত্রদলের কমিটি আনতে দুহাতে টাকা খরচ করছেন মান্নান। সোনারগাঁয়ের অঙ্গ সংগঠনগুলোর একটাও তার নিয়ন্ত্রনে না থাকায় ছাত্রদলের কমিটি আনতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন মান্নান- এমনটাই জানিয়েছে স্থানীয় সূত্র।
সূত্র জানায়, চলতি বছরের ২৬ জানুয়ারি নাহিদ হাসান ভূইয়াকে সভাপতি এবং জোবায়ের রহমান জিকুকে সাধারণ সম্পাদক করে নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের ৯ সদস্যের আংশিক কমিটি ঘোষনা করা হয়। নতুন কমিটি পেয়ে প্রতিটি ইফনিট কমিটিকে শক্তিশালী করার উদ্যোগ নেয়া হয়। এ উদ্যোগের অংশ হিসেবে থানা কমিটিগুলো ভেঙ্গে নতুন করে সাজানোর উদ্যোগ নেয়া হয়। আর এ সুযোগটিই লুফে নিয়েছেন সোনারগাঁ থানা বিএনপির সভাপতি আজহারুল ইসলাম মান্নান। থানা ছাত্রদলের কমিটি বাগানোর জন্যে টাকা নিয়ে উঠেপরে লেগেছেন তিনি।
স্থানীয়ভাবে জানা গেছে, নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক রিফাত হোসেন বাবু, সোনারগাঁও থানা ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক মো: শাহজালাল ও আরিফুল ইসলাম রাজের যেকোনো দুইজনকে সাইনিং পাওয়ার দিয়ে সোনাগাঁ থানা ছাত্রদলের কমিটি আনতে বিপুল অংকের টাকা খরচ করছেন মান্নান। ইতিমধ্যে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় অনেক নেতার দরবাওে হাজিরা দিয়েছেন মান্নান ও তার ছেলে খায়রুল ইসলাম সজিব। তাছাড়া কেন্দ্রীয় একাধীক নেতার কাছে গিয়ের তদ্বির করছেন। যেকোনো মূল্যে থানা ছাত্রদলের কমিটি আনতে বাপ-বেটা নিরন্তর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন বলেই জানিয়েছে বিভিন্ন সূত্র। তবে মান্নানের টাকায় কেনা কমিটি মানবেনা বলেও জানিয়েছে স্থানীয় ত্যাগী নেতাকর্মীরা। বিগত দিনে রাজপথে ভূমিকা মূল্যায়ন কওে যোগ্য নেতৃত্ব বাছাই করতে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের দৃষ্টি আকর্ষন করেছেন তারা।