কত টাকায় মান ভাঙ্গলো মান্নানের!

নারায়ণগঞ্জ মেইল: গত ২ জুন নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপিকে বয়কটের ঘোষনা দিয়েছিলেন সোনারগাঁ উপজেলা বিএনপির সভাপতি আজহারুল ইসলাম মান্নান। জেলা বিএনপি আয়োজিত কোনো কর্মসূচিতে সোনারগাঁ উপজেলা বিএনপি ও এর কোনো অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা আর অংশ নেবেনা বলেও জানিয়েছিলেন তিনি। জেলা বিএনপির কর্মসূচিতে গেলে সোনারগাঁ উপজেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দকে সঠিক মূল্যায়ন করা হয়না বলে অভিযোগ ছিলো মান্নানের। তার নির্দেশেই গত ২৭ মে তারিখে চাষাঢ়া শহীদ মিনারে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে সোনারগাঁ উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের কোনো নেতাকর্মী অংশগ্রহন করেনি বলেও জানিয়েছিলেন তিনি।

এ বিষয়ে সোনারগাঁ উপজেলা বিএনপির সভাপতি আজহারুল ইসলাম মান্নান নারায়ণগঞ্জ মেইলকে বলেছিলেন, জেলা বিএনপির কর্মসূচিতে গেলে সোনারগাঁয়ের নেতাকর্মীদের সঠিক মূল্যায়ন করা হয়না। তাই আমি সবাইকে না করেছি জেলা ব্এিনপির কর্মসূচিতে যেতে। আমরা লাখ লাখ টাকা খরচ করে শত শত লোক নিয়ে যাবো আর সেখানে ওয়ানম্যান শো জেলার নেতারা মাদবরি করবেন, তা হতে পারেনা। আমরা জেলার চেয়ে বেশি লোক নিয়ে থানায় কর্মসূচি করবো। এ বিষয়ে সেন্ট্রালকে কোনো জবাব দিতে হলে আমি দেবো কিন্তু জেলার কর্মসূচিতে আর সোনারগাঁয়ের নেতাকর্মীরা যাবেনা।

মান্নানের এই বয়কট ঘোষনার সপ্তাহ যেতে না যেতেই পাল্টে যায় দৃশ্যপট। জেলা বিএনপির কোনো কর্মসূচিতে আর অংশগ্রহন না করার ঘোষনা দেওয়া মান্নানকেই জেলা বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশে বিশেষ অতিথি করা হয়, এমনকি ব্যানারেও নাম উঠে যায় তার। শনিবার ১১ জুন চাষাঢ়া কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আয়োজিত জেলা বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশে এই ঘটনা ঘটে। জেলা বিএনপিকে বয়কট করা মান্নান মাত্র এক সপ্তাহের ব্যবধানে কি কৌশলে জেলা বিএনপির কর্মসূচিতে বিশেষ অতিথি হয়ে যান সেটা রহস্যময় ঠেকছে নেতাকর্মীদের কাছে। সোনারগাঁ বিএনপির সভাপতি আজহারুল ইসলাম মান্নানের বিগত সময়ে টাকার জোরে রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের ঘটনাগুলোকে পর্যবেক্ষণ করে তৃণমূল মনে করে, এবারেও টাকা দিয়ে জেলা বিএনপিকে ম্যানেজ করেছেন মান্নান। টাকার কারনেই মান্নানের নাম বিশেষ অতিথি হিসেবে ব্যানারে উঠেছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক মনিরুল ইসলাম রবি নারায়ণগঞ্জ মেইলকে বলেন, এই মান অভিমানের বিষয়ে আামি কিছুই জানিনা। আমাকে বিভাগীয় টিম জানিয়েছে যে, সদস্য সচিব মামুন মাহমুদ কিছুটা সুস্থ্য হয়েছে, এখন থেকে সাংগঠনিক কাজকর্মগুলোতে অংশ নেবেন তিনি। তাই এবার মামুন মাহমুদ বলেছিলেন তিনি জেলা ্উপজেলা পর্যায়ে দাওয়াত দেওয়ার কাজটি করবেন আর আমি সিটি কর্পোরেশনের অনুমতি সংগ্রহ করাসহ বাকি আয়োজনগুলো সম্পন্ন করবো। তাই অতিথি হওয়ার বিষয়টি সম্পর্কে আমি বলতে পারছি না।

টাকায় মান ভাঙ্গলো কিনা তাহলে কত টাকায় এই অভিমান ভুুলে চলে ফিরে আসা-এমন প্রশ্নের জবাবে আজহারুল ইসলাম মান্নান নারাণগঞ্জ মেইলকে বলেন, টাকাতো রাস্তায় পইরা থাকে যে চাইলেই দিয়া দিমু। এতোদিন তারা এলামেলোভাবে আয়োজন করতো, অনেককে তাদের প্রাপ্য সম্মানটুকু করতো না তাই বলছিলাম বয়কট করবো। এবার তারা গঠনতন্ত্র মেনে আয়োজন করেছে, ব্যানারে আমার নাম দিয়েছে তাই গিয়েছি। আমার চেয়ে বড় নেতা কে এই জেলায়!

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

নারায়ণগঞ্জ মেইলে এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।

সর্বশেষ