“বিএনপি পেছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতায় আসবে না”

নারায়ণগঞ্জ মেইল: বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান এড. আহমদ আযম খান বলেছেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যদি আমরা নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন করতে না পারি তাহলে আমাদের দেশমাতা মাদার্স অফ ডেমোক্রেসি বেগম খালেদা জিয়া বন্দি থাকবেন এবং আমাদের নেতা দেশনায়ক তারেক রহমান নির্বাসনই থাকবে।

তেমনি বন্দি থাকবে বাংলাদেশের গণতন্ত্র। বন্দি থাকবে বাংলাদেশের মানবাধিকার, বন্দি থাকবে বাংলাদেশের ২০ কোটি মানুষের অধিকার। সুতরাং আগামী দিনের আন্দোলন সংগ্রামের জন্য আমাদের সবাইকে অক্লান্ত পরিশ্রম করতে হবে। আমাদের একমাত্র পথ হলো আন্দোলন। আন্দোলন থেকে পিছপা হওয়ার কোন সুযোগ নেই।

বিএনপি কোনদিন পিছনে দরজা দিয়ে ক্ষমতায় আসেনি এবং আগামী তো আসবে না। বিএনপি যতবারই ক্ষমতায় এসেছে এদেশের জনগণের ভোটের মাধ্যমে বিজয়ী হয়ে সরকার গঠন করেছিলেন। আমরা চাই একটি নিরপেক্ষ নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন। আমরা এই সরকারের অধীনে আর কোন নির্বাচন অংশগ্রহণ করব না।

বিএনপি ঘোষিত যুগপৎ আন্দোলনে ১০ দফা দাবি ও রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের রূপরেখা নিয়ে ব্যাখ্যা ও বিশ্লেষণ শীর্ষক নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা গুলো বলেন।  রবিবার (৮ জানুয়ারি) নারায়ষগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে’ তাজমহল চাইনিজ রেস্টুরেন্ট এন্ড পার্টি সেন্টারে এই আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

এ সময় এড. আহমদ আজম খান আরও বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ১০ দফাকে জনগণের মাঝে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্যে এবং ২৭দফা কর্মসূচিকে এদেশের জনগণের মাঝে পৌছে দেওয়ার জন্যে। আমরা যেন আন্দোলনকে কোনভাবেই থামিয়ে না দেই এবং হারিয়ে না যাই। এই আন্দোলন থেকে হারিয়ে যাওয়ার বিএনপি নেতাকর্মীদের কোন সুযোগ নেই।

আমাদের পিছনে অত্যাচারী সরকার, সামনে কারাগার। সুতরাং আমাদের একমাত্র পথই হলো আন্দোলন। আমাদের হয় আন্দোলন করতে হবে না হয় মরতে হবে। এর বাইরে আমাদের মধ্যে বিকল্প কোন রাস্তা নেই। আগামী ১১ই জানুয়ারি বিএনপি’র ঢাকা বিভাগীয় গণ অবস্থান কর্মসূচি ঢাকাতে অনুষ্ঠিত হবে। সেই কর্মসূচিতে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা অংশগ্রহণ করবেন।

তিনি বলেন, আপনারা দেখেছেন এই সরকারের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী পাখির মতন মানুষকে গুলি করে মারে। নারায়ণগঞ্জ যুবদল নেতা শাওন প্রধানকে গুলি করে হত্যা করেছে। বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় এইভাবে নেতাকর্মীদেরকে পাখির মতো গুলি করে হত্যা করেছে শৃঙ্খলা বাহিনী। হাজার হাজার নেতা-কর্মীদের কে আহত করা হয়েছে।

গুলি করে মারে আমাদেরকে আহতও করে আমাদেরকে আবার মামলাও দেয় আমাদেরকে। আবার আমাদের কাছ থেকে জোর করে জবানবন্দি নেয় যারা নিহত হয়েছে তারা কেউ বিএনপি করেন না। আজকে ফেরাউন ও হিটলার যদি বেঁচে থাকতেন তাহলে বলতেন যে আমাদের চেয়েও যে কত বড় ক্ষমতাবান এই বর্তমান সরকার।

তিনি বলেন, নারায়ণগঞ্জের একটি ইউনিয়নের কোষাধ্যক্ষ হুমায়ুন কবির, তাকে দীর্ঘদিন জেলে রাখা হয়েছে। তার ছেলে ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে। তিনি নিজের ছেলের জানাজা পড়তে পারবেন  কি না, তা এখনও নিশ্চিত নয়।

গণতন্ত্রের জন্য, মানুষের ভোটের অধিকারের জন্য নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম কমানের জন্য নারায়ণগঞ্জ ও রূপগঞ্জের দুই নেতা নির্মমভাবে হত্যার শিকার হয়েছেন। আমি তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি।

তিনি আরও বলেন, ডা. জোবায়দা রহমানের পরিবারের কোনো সম্পত্তিই বাংলাদেশ আমলে কেনা নয়, এই বৈধ টাকাকে অবৈধ বলে ক্রোক করার চেয়ে নির্মম-নিষ্ঠুরতা আর কিছু নেই।

নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিনের সভাপতিত্বে ও যুগ্ম আহ্বায়ক মাশুকুল ইসলাম রাজিবের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান এড. আহমদ আযম খান। এছাড়াও আরও উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির নির্বাহী কমিটির বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী মনিরুজ্জামান মনির, আজহারুল ইসলাম মান্নান, মোস্তাফিজুর রহমান ভূঁইয়া দিপু, নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সদস্য সচিব গোলাম ফারুক খোকন, যুগ্ম আহবায়ক লুৎফর রহমান খোকাসহ নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আওতাধীন দশটি ইউনিটের নেতৃবৃন্দ।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

নারায়ণগঞ্জ মেইলে এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।

সর্বশেষ