রূপগঞ্জে অগ্নিকাণ্ড: শ্রমিক বিক্ষোভ পুলিশের সাথে সংঘর্ষ

রূপগঞ্জ প্রতিনিধি: নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের হাশেম ফুডস অ্যান্ড বেভারেজ কম্পানির সেজান জুস কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে তিন শ্রমিক নিহতের ঘটনায় পুলিশের সঙ্গে শ্রমিকদের সংঘর্ষ হয়েছে।

আজ শুক্রবার (৯ জুলাই) সকাল ১১টার দিকে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা আনসার ক্যাম্পে ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়। তারা আনসার ক্যাম্পের সংরক্ষণাগার থেকে তিনটি শটগান লুট করে নিয়ে যায়।

আনসারদের প্রশিক্ষক ও ভারপ্রাপ্ত ইনচার্জ নাছিমা বেগম বলেন, হাশেম ফুডস অ্যান্ড বেভারেজ কম্পানির সেজান জুস কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা হাশেম ফুডের আনসার ক্যাম্পে প্রবেশ করে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। তারা ক্যাম্পের অস্ত্র সংরক্ষণাগারের তালা ভেঙে তিনটি শটগান লুট করে নেয়। এ হামলায় কাউসার, বিশ্বজিত, ফারুক, মোশরাকুলসহ প্রায় পাঁচ আনসার সদস্য আহত হন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে র‌্যাব, গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) ও আঞ্চলিক পুলিশ ও রূপগঞ্জ থানা পুলিশ উপস্থিত হয়।

অস্ত্র লুটের বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছে এবং তাদের সঙ্গে কথা বলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান নাছিমা বেগম।

রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ এফ এম সায়েদ বলেন, শ্রমিকদের ছত্রভঙ্গ করতে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকদের পুলিশ টিয়ারশেল ও কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে।

গতকাল রাতে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের পাশে ভুলতা কর্ণগোপ এলাকায় অবস্থিত সেজান জুস কারখানায় আগুন লাগে। এতে তিন শ্রমিক নিহত হন। ছয়জন দগ্ধসহ আহত হন অর্ধশতাধিক শ্রমিক। ভবনের ছাদে আটকে পড়া ১২ শ্রমিককে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।

আগুনে কারখানার কাঁচামাল, উৎপাদিত পণ্য, মূল্যবান সামগ্রীসহ বিপুল ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। খবর পেয়ে কাঞ্চন, পূর্বাচল, ডেমরা, আড়াইহাজার, আদমজী ফায়ার সার্ভিসের ১১ ইউনিটের কর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণ কাজে যোগ দেন। আগুনে ভবনের বিভিন্ন তলায় কারখানার কর্মচারী ও কর্মকর্তারা আটকা পড়েন। কেউ কেউ লাফিয়ে পড়ে আহত হন।

স্থানীয় সূত্র জানা যায়, আহতদের মধ্যে ১০ জনকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আর ইউএস-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় ১৬ জনকে

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

নারায়ণগঞ্জ মেইলে এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।

সর্বশেষ