নারায়ণগঞ্জ মেইল: ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জের রাজপথে সবচেয়ে বেশি অবদান ছিলো যার সেই মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ আকস্মিক হারিয়ে গিয়েছিলেন। নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের সবচেয়ে সফল সভাপতি খোরশেদ স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগের আমলে সবচেয়ে বেশি নির্যাতিত ছিলেন কিন্তু তার বড় ভাই অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকারের অপকর্মের কারণে নিজেকে আড়ালে নিয়ে গিয়েছিলেন তিনি। তবে সকল পিছুটান ফেলে এসে আবারো সমহিমায় আবির্ভূত হতে যাচ্ছেন রাজপথের বিপ্লবী এই নেতা। পুরনো রূপে আবারো দেখা গেছে সেই খোরশেদকে। খোরশেদের এই ফিরে আসায় নতুন করে আশায় বুক বাঁধছে তার নেতাকর্মীরা।
মঙ্গলবার ১৪ অক্টোবর নারায়ণগঞ্জের বন্দর থানার এলাকার বিভিন্ন স্থানে ধানের শীষের পক্ষে গণসংযোগ করেন মহানগর যুবদলের সাবেক সভাপতি মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ। এ সময় খোরশেদের পক্ষে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের ঢল নামে। দীর্ঘদিন পর খোরশেদকে কাছে পেয়ে তারা আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। বিশেষ করে খোরশেদের নিজ হাতে গড়া সংগঠন মহানগর যুবদলের নেতাকর্মীরা খোরশেদকে এখনো ভুলতে পারেননি। তারা আবারো খোরশেদকে দায়িত্ব নেয়ার আহ্বান জানান।
এ সময় খোরশেদ নেতাকর্মীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং অতীতের মতো আগামীতেও রাজপথে সকলকে পাশে নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার করেন। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি এবং ধানের শীষের জন্য জীবনের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত লড়ে যাওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তিনি।
প্রসঙ্গত, নারায়ণগঞ্জে আওয়ামী লীগ বিরোধী আন্দোলন সংগ্রামে প্রথম সারিতে ছিলেন তৎকালীন মহানগর যুবদলের সভাপতি মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ। আর এজন্য প্রায় শতাধিক মামলার আসামি হয়ে অসংখ্যবার জেল খেটেছেন তিনি তবুও রাজপথ ছেড়ে যাননি। রাজপথে তার ছিল বিশাল কর্মী বাহিনী যাদেরকে সাথে নিয়ে তিনি তথাকথিত গডফাদারদের রক্ত চক্ষুকে উপেক্ষা করে আন্দোলনের জোয়ার তুলেছিলেন। পুলিশের হামলা মামলা আর নির্যাতনের সহ্য করেও দুর্বার গতিতে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে লড়াই সংগ্রাম চালিয়ে গেছেন। বছরের বেশিরভাগ সময় বাড়িঘর স্ত্রী সন্তান রেখে পালিয়ে থাকতে হয়েছে তবুও রাজপথ ছাড়েননি।
মহামারী করোনা ভাইরাস চলাকালীন সময়ে নিজের জীবনের মায়া ত্যাগ করে আর্ত মানবতার সেবায় নিজেকে উৎসর্গ করেছিলেন খোরশেদ, পেয়েছিলেন মানবতার ফেরিওয়ালা উপাধি। করোনা আক্রান্ত রোগীর পাশে যখন তার নিজস্ব আত্মীয়-স্বজন আর আপনজনেরা ভয়ে কাছে যেতে সাহস পেতো না, তখন করনাবীর খোরশেদ সেবার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। অক্সিজেন সরবরাহ, খাবার ও চিকিৎসা সেবা নিয়ে দ্বারে দ্বারে ঘুরেছেন। এমনকি করণায় আক্রান্ত মৃতদেহ দাফন করে সারা বাংলাদেশের রেকর্ড গড়েছেন তিনি। নারায়ণগঞ্জের মানুষ এই করোনাবীরকে কখনো ভুলবেনা।