নারায়ণগঞ্জ মেইল: নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খান বলেছেন, বিএনপি কিন্তু কন্ট্রোলের মাল না। যে কন্ট্রোলের চাল যেভাবে পারবেন সেভাবেই খাবেন। এখন দেখতাছি বিএনপিতে যাদের সদস্য পদ নাই তারা বিএনপির নাম ব্যবহার করে বিভিন্ন ধরনের দিচ্ছেন। এতে করে কিন্তু সাধারণ জনগণের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হচ্ছে। একটি কথা পরিষ্কার করে বলে দিতে চাই আপনারা জনগণের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করবেন না। যারা এগুলো করছেন তাদের উদ্দেশ্য করে বলতে চাই আপনারা বিএনপি’র কি? আপনি বিএনপির নাম ব্যবহার করে সমাবেশ করেন মিছিল করেন। আর সেটা করতে হলে দলের নিয়ম-নীতি ও আদর্শ এবং গঠনতন্ত্র মেনেই করতে হবে। আপনি দলই করেন নাই দলের মেম্বারও হোন না এখন যদি আপনি সামনে এসে বসতে চান সেটা কি সম্ভব। যারা দল করেছে নির্যাতিত হয়েছে হামলা মামলার শিকার হয়েছে তারা সামনে বসবে আর আপনারা পিছে থাকবেন তারপরে বসবেন। আজকে যারা এখানে আছে তারা দীর্ঘ ১৫টি বছর আওয়ামী লীগের নির্মল নির্যাতন স্বীকার করেছে আমরা তাদেরকেই মূল্যায়ন করতে চাই। তাদেরকে নিয়ে আমরা চলতে চাই এবং আগামী নির্বাচনে ধানের শীষের প্রার্থীকে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করতে চাই।
নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির অন্তর্গত বন্দর থানা বিএনপির আওতাধীন ২৬নং ওয়ার্ড বিএনপির প্রাথমিক সদস্য নবায়ন ও নতুন সদস্য ফরম কার্যক্রম বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথাগুলো বলেন।
সোমবার ( ২১ জুলাই ) বিকেল চারটায় ইস্পাহানী বাজারে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
তিনি বলেন, আজকে যারা হয়ে নির্বাচন করতে চান আপনারা তো আছেন মধু খেতে। কারণ এখন দলের অবস্থা ভালো দেখছেন এখন আপনারা আসছেন মধু আহরণ করতে। আপনাদের তো কিছুটা শরম থাকা দরকার নাকি। আইসেই আপনারা মধ্যে বসতে চান এমপি হয়ে যেতে চান এটা কোন রকমই সম্ভব হবে না। অনেকেই অনেক কথা বলতেছেন কিন্তু আমাদের নেতা তারেক রহমান কোন কথাই কানোপাত করবেনা। আপনারা বিএনপির জন্য কোন কিছু করেন নাই সুতরাং সুসময় আপনারা বিএনপির থেকে কিছু পাবেন না।
তিনি আরো বলেন, কিছু কিছু শিল্পপতি এসেছেন যারা বিভিন্ন সময় বিএনপি নেতা কর্মীদের পুলিশ ও আওয়ামী লীগের লোকজন দিয়ে হয়রানি ও মামলা হামলা শিকার করিয়েছিলেন। তারা আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির পক্ষে বিভিন্ন ধরনের কার্যকলাপ করেছিল। শুধু তাই নয় প্রকাশ্যে নির্লজ্জের মতন তাদের মিটিং মিছিলে গিয়েছিল। তাদেরকে ইতিমধ্যে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে সেই বহিষ্কৃত নেতাদেরকে নিয়ে তারা এখন পথ চলতাছেন। আমাদের দল থেকেই ইতিমধ্যে কিন্তু বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়েছে এতে বহিষ্কৃত নেতাদেরকে নিয়ে কোন চলাচল এবং তাদের সাথে সম্পর্ক রাখা যাবে না। যারা এগুলো করতেছেন তারা ওই বহিষ্কৃতদের পর্যায়ের লোক। সুতরাং আমরা জলা দলে রয়েছি আমরা দলের নীতি আদর্শ মেনে আমরা দলকে সংঘটিত করবো। এমন আগামী নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিব নির্বাচনে যাতে করে বিএনপি বিজয় লাভ করতে পারে তার জন্য আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করব।
মহানগর ২৬নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি সফি উদ্দিন সোহেল প্রধানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খান, প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু, বিশেষ অতিথি বন্দর থানা বিএনপির সভাপতি শাহেনশাহ আহমেদ, বন্দর থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক রানা।
এছাড়াও আরও উপস্থিত ছিলেন, বন্দর থানা বিএনপির সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি আঃ মতিন ভাষানীর, বন্দর থানা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক আসাদুজ্জামান বাদল, সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ইকবাল হোসেন, ২৬নং ওয়ার্ড বিএনপির সিনিয়র সভাপতি, মাসুদুর রহমান, সহ- সভাপতি মো. সেলিম মিয়া, মো. আমানত, মো. আমির, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফারুক মিয়া সাংগঠনিক সম্পাদক ইসলাম নারু, এড. আজমল হোসেন রানা, মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ওয়াদুদ ভূইয়া সাগরসহ বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।