নারায়ণগঞ্জ মেইল: ফতুল্লার দক্ষিণ শিয়াচরে এক বিধবা অসহায় নারীর দোকানঘর জোরপূর্বক দখলের চেষ্টা ও মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে আপন ভাসুরের বিরুদ্ধে। গত রোববার দক্ষিণ শিয়াচরে এই ঘটনা ঘটে।
পরে এই ঘটনায় ফতুলা মডেল থানায় দক্ষিণ শিয়াচর এলাকার মৃত সাজ্জাত আলীর স্ত্রী ভূক্তভোগী নারী মোসাঃ নীহার বানু (৪৮) বাদী হয়ে আপন ভাসুরসহ দুই জনের নাম উল্লেখ করে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযুক্তরা হলেন, ফতুল্লা থানাধীন দক্ষিণ শিয়াচর এলাকার মৃত আব্দুল মোতালেবের ছেলে (১) আবুল কাসেম (৬৫), আবুল কাসেমের ছেলে (২) মো. সালেকিন (২২), (৩) নুরুল হক (৪০), পিতা- অজ্ঞাত।
অভিযোগে উল্লেখ করেন, আমার স্বামী সাজ্জাত আলী বিগত দেড় বছর পূর্বে মারা যায় । এরপর থেকেই বিবাদীরা আমার স্বামীর ফতুল্লা থানাধীন দক্ষিণ শিয়াচরস্থ এলাকার ৩টি দোকান বেদখল করার জন্য বিভিন্ন ধরনের পায়তারা ও ষড়যন্ত্র করছে। এ বিষয়ে আমরা প্রতিবাদ করিলে বিবাদীগণ ক্ষিপ্ত হয় এবং আমাকেসহ আমার সন্তানদেরকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে । বিভিন্ন ধরনের ভয়-ভীতি ও হুমকি ধামকি প্রদর্শণ করে। এরই ধারাবাহিকতায় গত ১২ জুন রোববার বিকাল সাড়ে চারটার দিকে বিবাদীগণ হাতে দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্রে সজ্জিত হয়ে পুনরায় আমাদের দক্ষিণ শিয়াচর এলাকার ৩টি দোকান বেদখল চেষ্টা করে। এসময়ে আমার বড় ছেলে মেহেদী সাজ্জাদ (২২) কে এলোপাতাড়ী কিল, ঘুষি ও লাথি মারে শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করে। দোকানের মধ্যে ঢুকে বাহির হইতে শাটার লাগিয়ে তালা মেরে দেয়। আমি জানতে পেরে দ্রত ঘটনাস্থলে আসলে আমাকেও এলােপাতাড়ী কিল, ঘুষি ও লাথি মেরে শরীরের বিভিন্ন স্থানে নীলফুলা জখম করে। এবং দোকান গুলো ভাংচুর করে ক্ষতি সাধন করে। আমাদেরকে জানে মেরে ফেলে অন্যথায় যে কোন বড় ধরনের ক্ষতি সাধন করবে বলে হুমকি দিয়ে চলে যায়।
ভুক্তভোগী নীহার বানু বলেন, আমার মরহুম স্বামী সাজ্জাত আলীর পৈত্রিক ওয়ারিশ সুত্রে ও ক্রয় সুত্রে প্রাপ্ত ফতুল্লা থানাধীন খিজিরপুর ও শিয়াচর মৌজার ৪৫ শতাংশ জমিতে অবস্থিত দোকানঘর, বসতবাড়ি এবং কতক নাল জমি আমার স্বামীর বড় ভাই আবুল কাশেম জোবায়ের ও অসাধু একটি চক্র অবৈধভাবে দখল করতে চায়। আমাকে ও আমার দুই এতিম সন্তানদেরকে মালিকানা থেকে বঞ্চিত করার হীন চেস্টায় লিপ্ত। দফায় দফায় থানায় অভিযোগ করেও এর কোনো প্রতিকার পাচ্ছিনা। স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের কাছে আমি সুবিচার চাই। আমার দুই এতিম সন্তানকে নিয়ে নিরাপদে বাচার ও জানমাল রক্ষার নিশ্চয়তা চাই।
এ বিষয়ে অভিযোগের তদন্তকারী কর্মকর্তা ফতুল্লা মডেল থানার এসআই সোহাগ চৌধুরী বলেন, এই বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।