নারায়ণগঞ্জ মেইল: নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির এক আলোচিত চরিত্র হচ্ছেন ফতুল্লা থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট আব্দুল বারী ভূঁইয়া। বর্তমানে তিনি নানান বিতর্কিত বক্তব্য আর ফেসবুক স্ট্যাটাসের কারণে গণমাধ্যমের আলোচনায় চলে এসেছেন। তাছাড়া একের পর এক নেতা পাল্টানোর কারনেও সকলের কাছে হাস্যরসের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছেন তিনি।
অনুসন্ধানে জানা যায়, অতি সম্প্রতি আব্দুল বারী ভূঁইয়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বেশ কিছু বিতর্কিত স্ট্যাটাস দেন। অবশ্য এর মাঝে কয়েকটা আবার তিনি ডিলেটও করে দেন। এসব ফেসবুক স্ট্যাটাসে তিনি জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ গিয়াসউদ্দিনকে ইঙ্গিত করে নানা অশালীন মন্তব্য করেন। যদিও ফতুল্লা থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক পদটি তিনি গিয়াসউদ্দিনের আশির্বাদেই পেয়েছিলেন।
অনুসন্ধান বলছে, এক নেতার আশ্রয়ে আব্দুল বারী ভূঁইয়া বেশিদিন থাকেন না। যখন যেখানে সুবিধা পান তখন সেখানেই পাড়ি জমান তিনি। ইতিপূর্বে তিনি জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি বহিষ্কৃত নেতা তৈমুর আলম খন্দকারের ছায়াতলে ছিলেন। আদালত পাড়া এবং মাঠের রাজনীতিতে তিনি ছিলেন তৈমুর অনুসারী। তৈমুরের সুদিন চলে যাওয়ার সাথে সাথে তৈমুরকে পল্টি মারেন বারী ভূঁইয়া এবং চলে আসেন গিয়াসউদ্দিন শিবিরে।
এদিকে গিয়াস শিবিরেও বেশি দিন স্থায়ী হননি সুচতুর বারী ভূঁইয়া। মোহাম্মদ গিয়াসউদ্দিনের জেলা বিএনপির কমিটি ভেঙ্গে দেওয়ার পরপরই তিনি গিয়াস বলয় থেকে আস্তে আস্তে সরে আসতে শুরু করেন এবং জেলা বিএনপির বর্তমান আহবায়ক অধ্যাপক মামুন মাহমুদের কাঁধে সওয়ার হন।
বর্তমানে তিনি পুরোই গিয়াসউদ্দিনের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন। যে গিয়াসউদ্দিন তাকে থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বানিয়েছে, তার বিরুদ্ধে এবং তার পরিবারের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানা অশালীন বক্তব্য দিচ্ছেন। তার এই সুবিধাবাদী চরিত্র দেখে হাস্যরসের সাথে অনেকে মন্তব্য করছেন আর কতো নেতা পাল্টাবেন বারী ভুইয়া!
এসব বিষয়ে জানতে চাইলে ফতুল্লা থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট আব্দুল বারী ভূঁইয়া সকল অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করে বলেন, আমি কোথাও কোনো বক্তব্য দেইনি, এমনকি ফেসবুকেও কোনো অশালীন স্ট্যাটাস লিখিনি।
যদিও তার ফেসবুক আইডিতে জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ গিয়াসউদ্দিনকে ইঙ্গিত করে দেয়া অশালীন পোস্ট পাওয়া গেছে এবং কয়েকটি পোস্ট তিনি ডিলেট করে দিয়েছেন।