নারায়ণগঞ্জ মেইল: একটি ধর্ষণ মামলার বাদির বিরুদ্ধে থানায় মামলা নেয়ায় নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম-এর বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে সাজানো একটি লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছে। (৩রা সেপ্টেম্বর) সামছুল নামে ধর্ষণ মামলার একবাদি এই অভিযোগ করেন।
তবে (ওসি) বলেন, ‘অপরাধী যে-ই হোক না কেন। অপরাধ করলেতো মামলা নিতেই হবে। আইনতো সবার জন্যই সমান। তবে অভিযোগটি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও সাজানো।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, চলতি বছরের (৩রা মে) সন্ধ্যায় হাজীরটেক এলাকার পঞ্চম শ্রেণিতে পড়–য়া (১০) অভিযোগকারীর মেয়েকে মুদি দোকানদার আলাউদ্দিন (৩৫) ধর্ষণ করেন। পরে এ ঘটনায় আড়াইহাজার থানায় একটি ধর্ষণ মামলা করা হয়। মামলা নং- ৪ (৫) ২০২০ইং। অভিযোগটিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, ধর্ষণ মামলার বাদির বিরুদ্ধে আড়াইহাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম মিথ্যা মামলা নিয়েছেন। অপরদিকে ধর্ষণ মামলার বাদির বিরুদ্ধে আড়াইহাজার থানায় করা মামলা সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের ১২ আগস্ট রাত সাড়ে ৮টার দিকে ধর্ষণ মামলার বাদি সামছুলের নেতৃত্বে ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি আলাউদ্দিনের মুদি দোকানে হামলা চালানো হয়। এ সময় দোকানের ভিতরে থাকা আলাউদ্দিনের স্ত্রী জিয়াছমিন (৩০) ও তার মা আমেনা (৬৫) কে মারধর করা হয়। এক পর্যায়ে আমেনাকে দা দিয়ে কোপানো হয়। পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে আড়াইহাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সেদিনের হামলায় অংশ নেন হাজীরটেক এলাকার মৃত আব্দল হামিদের ছেলে ইসলাম (৩৮), মৃত আনসর আলীর ছেলে কাজম আলী (৫০), মৃত আব্দুল হামিদের ছেলে ইমানউদ্দিন (৩৩) ও সামছুল হক (৪৩)। এ ঘটনায় চার জনের নাম উল্লেখ করাসহ অজ্ঞাত ৪ থেকে ৫ জনকে আসামি করা হয়। মামলা নং- ১ (৯) ২০২০ইং। তবে সুপারের কার্যালয়ে দেয়া অভিযোগে উল্লেখিত বিষয়গুলোর কোনোটিরই সত্যতা পাওয়া যায়নি। শাহাবুদ্দীন মোবাইল ফোনে বলেন, আমার মা আমেনা বেগমের মাথায় দা দিয়ে কোপানো হয়েছিল। এতে তার মাথায় ৬টি সেলাই হয়েছে। এ ঘটনায় আমি বাদি হয়ে সামছুলসহ আরও কয়েক জনের নামে একটি মামলা করেছি। আড়াইহাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম বলেন, ধর্ষণ মামলার বাদি ও তার লোকজন মামলার বিবাদী পক্ষের লোকজনের ওপর হামলা চালায়। এ সময় আমেনা নামে এক নারীকে দা দিয়ে মাথায় আঘাত করা হয়। এতে তার মাথায় ৬টি সেলাই হয়েছে। এ ঘটনায় তার ছেলে শাহাবুদ্দীন বাদি হয়ে একটি মামলা করেন। তিনি আরও বলেন, ‘অপরাধী যে-ই হোক না কেন। অপরাধ করলেতো মামলা নিতেই হবে। আইনতো সবার জন্যই সমান। তবে অভিযোগটি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও সাজানো।’