নারায়ণগঞ্জ মেইল: দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি ও সুস্থতা কামনায় ভূইঘর কাজীপাড়া এলাকাবাসী ও ফতুল্লা থানা জিয়া পরিষদের উদ্দ্যোগে মিলাদ মাহফিল ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।
সোমবার ( ১ ডিসেম্বর) বিকালে ভূইঘর সোনালী সংসদ মাঠে আয়োজিত মিলাদ ও দোয়া মাহফিলে জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক সদস্য কাজী মোঃ মাজেদুল হকের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির আহবায়ক অধ্যাপক মামুন মাহমুদ এবং প্রধান বক্তা হিসাবে উপস্থিত ছিলেন মহানগর ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাকালীন সভাপতি কে এম মাজহারুল ইসলাম জোসেফ।
প্রধান অতিথি মামুন মাহমুদ বলেন, আজকের এই দোয়া মাহফিল আমাদের হৃদয়ের গভীর ব্যথা, ভালোবাসা ও সম্মানের বহিঃপ্রকাশ। আমরা এখানে একত্রিত হয়েছি দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার দ্রুত আরোগ্য ও দীর্ঘায়ু কামনায় আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করতে।
আমরা জেলা বিএনপি পরিষ্কার ভাষায় বলতে চাই, বেগম জিয়ার মুক্তি ও যথাযথ চিকিৎসা কোনো রাজনৈতিক অনুগ্রহ নয়; এটি তার ন্যায্য অধিকার। দেশের মানুষের ভালোবাসা, দোয়া ও সমর্থনই তাকে শক্তি জোগাচ্ছে, আর এ কারণেই আজ সারা দেশে তার সুস্থতার জন্য সবাই দোয়া করছেন।
প্রধান বক্তা মাজহারুল ইসলাম জোসেফ বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া শুধু বিএনপির সম্পদ নন—তিনি এই জাতির গণতান্ত্রিক আকাঙ্ক্ষার প্রতীক। দীর্ঘদিন ধরে তিনি শারীরিকভাবে ভীষণ অসুস্থ। তিনবারের নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া, তাই বিগত ফ্যাসিস্ট সরকার তার জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে তাকে ন্যূনতম মানবিক চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত করেছে , যা সত্যিই দুঃখজনক ও হৃদয়বিদারক।
তিনি আরও বলেন, আমরা দলমত নির্বিশেষে সকলের কাছে আহ্বান জানাই—দেশনেত্রীর সুস্থতার জন্য দোয়া করুন। তার সুস্থতা এই দেশের গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের পথকে আরও শক্তিশালী করে তুলবে।
এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, নাঃগঞ্জ জেলা জিয়া পরিষদের সভাপতি মোঃ নাজির আহমেদ নাজির, আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কুতুবপুর ইউনিয়ন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি নজরুল ইসলাম মাদবর, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী আমিন হোসেন। মহানগর যুবদল নেতা শফিকুল আলম মুক্ত, হাজী সাইদ, সবুজ, মাসুম, হারুন,কাজল, শরীফ। অনুষ্ঠানের আয়োজনে ছিলেন, মনিরুজ্জামান মিন্টু, কাজি অহিদ, কাজি ইকবাল, কাজী আশরাফউদ্দিন।
দোয়া মাহফিলে বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি সহ আরাফাত রহমান ককোর রুহের মাগফিরাত কামনা সহ দেশের শান্তি, মানুষের কল্যাণ এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
মোনাজাত শেষে সকলের মাঝে রান্না করা খাবার বিতরন করা হয়।
