নারায়ণগঞ্জ মেইল: দেশের শীর্ষ কওমী আলেম ও হেফাজতে ইসলামের আমির আল্লামা আহমদ শফীর নামাজে জানাজা সম্পন্ন হয়েছে। শনিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) দুপুর ২টার দিকে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় ইমামতি করেন তার ছেলে মাওলানা মোহাম্মদ ইউসূফ। জানাজা শেষে মসজিদ সংলগ্ন কবরস্থানে দাফন করা হবে দেশের জ্যেষ্ঠ এ আলেমকে।
এর আগে জানাজায় অংশ নিতে চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে মানুষের ঢল নামে। অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে জেলার চার উপজেলায় কাজ করছে ১০ প্লাটুন বিজিবি ও ৭ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বাধীন টহল দল।
হেফাজত আমীর ও বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশের সাবেক সভাপতি আল্লামা আহমদ শফীর জানাজায় অংশ নিতে লাখো মানুষের ঢল নামে হাটহাজারির দারুল উলুম মঈনুল ইসলাম মাদ্রাসা এলাকায়। শনিবার ভোর থেকেই চট্টগ্রামের রাউজান, রাঙ্গুনিয়া, হাটহাজারী,সাতকানিয়া ও পটিয়াসহ নানা উপজেলা থেকে আসতে থাকেন তার অনুসারীরা। জড়ো হয়েছেন ঢাকা, রাজশাহী ও সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে হাজারো মানুষ।
আহমদ শফীর মৃত্যু ও জানাযাকে কেন্দ্র করে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে শুক্রবার রাত থেকেই সতর্ক অবস্থানে যায় প্রশাসন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ৪ উপজেলায় ১০ প্লাটুন বিজিবি ও ৭ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করছেন।
হৃদরোগসহ বার্ধক্যজনিত নানা জটিল রোগে ভুগছিলেন ১০৪ বছর বয়সী হেফাজতে ইসলামের আমীর আহমদ শফী। শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজধানীর আজগর আলী হাসপাতালে মারা যান তিনি। তার শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী হাটহাজারী মাদ্রাসায় জানাযা শেষে দাফন করা হবে তাকে।
দীর্ঘদিন ধরেই অসুস্থ আহমদ শফীকে বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম মেডিকেলে ভর্তি করা হয়। শারিরিক অবস্থার অবনতি হলে শুক্রবার বিকেলে তাকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে ঢাকায় আনা হয়। পরে সন্ধ্যায় মারা যান কওমি মাদ্রাসাগুলোর মধ্যে সবচেয়ে পুরনো মাদ্রাসা হিসেবে পরিচিত চট্টগ্রামের হাটহাজারী দারুল উলুম মঈনুল ইসলাম মাদ্রাসার সাবেক এই মহাপরিচালক।