নারায়ণগঞ্জ মেইল: বন্দরের সেলসারদী এলাকার আব্দুল আওয়ালের পুত্র জুয়েল। রাজনৈতিক ভাবে তেমন কোন পরিচিতি নেই তার। তবে উত্তর মেরুর শীর্ষ অনেক নেতাই তাকে চিনেন। দলীয় কোন পরিচয় না থাকলে স্থানীয় একজন প্রভাবশালী নেতার সাথে পারিবারিক সম্পর্ক রয়েছে জুয়েলের পরিবারের। সে সুবাদে গত জুলাই মাসে বিআইডব্লিউটিএ’র একাধিক লঞ্চ ঘাট ইজারা নিয়েছিল জুয়েল। ঘাট ইজারাকে কেন্দ্র করে গত ২০ জুলাই প্রতিপক্ষের সাথে কথা কাটাকাটি হলে প্রভাবশালী নেতার তদবিরে প্রতিপক্ষের দুইজনকে সদর থানা পুলিশ ধরে নিয়ে যায় এবং দ্রুত বিচার আইন ও চাঁদাবাজী দুটি মামলা নেয় পুলিশ। দ্রুত বিচার আইনের মামলার বাদী ছিলেন জুয়েল। মূলত প্রভাবশালী নেতার তদবিরের কারণ সামান্য কথা কাটাকাটির ঘটনায়ও দ্রুত বিচার আইনের মামলা নিয়েছিল পুলিশ।
তবে এবার ঘাট দখল নয়, জুয়েল আলোচনায় এসেছে মাদক ব্যবসা নিয়ে। যদিও এরআগেও জুয়েল মাদকসহ বন্দরে গ্রেফতার হয়েছিল বলে তথ্য পাওয়া গেছে। জানাগেছে, গত সোমবার রাতে নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক আইন বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুল্লা রানাসহসহ নারায়ণগঞ্জের তিন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১০। তবে অভিযান পরিচালনার সময় ফেন্সিডিলের মূলহোতা জুয়েল দৌড়ে পালিয়ে যায়। গত সোমবার একটি প্রাইভেট কার যোগে ড্রাইভারসহ পাঁচজন কুমিল্লা থেকে ফেন্সিডিল এনে তা দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ বিক্রি করতে গেলে বন্দরের কুশিয়ারা এলাকার আমান মিয়ার ছেলে নূরে আলম শান্ত, বন্দরের নবীগঞ্জ এলাকার মৃত আব্দুল জলিল মুন্সির ছেলে হাবিবুল্লা রানা ও বন্দর শাহী মসজিদ এলাকার নুর ইসলামের পুত্র রাসেল রানাকে গ্রেফতার করে র্যাব-১০। এসময় একটি প্রাইভেট কার ( ঢাকা মেট্রো গ- ১৯-৯৪৩৯) ও ২শ বোতল ফেন্সিডিল জব্দ করে র্যাব। অভিযানে জুয়েলসহ আরো একজন পালিয়ে যায়। এদিকে, ফেন্সিডিলসহ আটকের পর জুয়েলকে বাঁচাতে ফের প্রভাবশালী নেতা তৎপর হয়ে উঠেছেন।
যদিও ঐ নেতা বিভিন্ন অনুষ্ঠানে মাদক বিরোধী বক্তব্য দিয়ে থাকেন। গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে হাবিবুল্লা রানা হলেন জুয়েলের দ্রুত বিচার আইনে দায়ের করা মামলার প্রধান স্বাক্ষী। অনুসন্ধানে জানাগেছে, প্রভাবশালী নেতার সরাসরি শেল্টার থাকায় মাদক ব্যবসা করছিল জুয়েল ও তার সহযোগীরা। আর মাদক ব্যবসায় জুয়েলের প্রধান সহযোগী হিসেবে কাজ করত হাবিবুল্লা রানা।