ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর ও চট্টগ্রাম- এই চার জেলার মানুষের উদুল আজহার ছুটিতে যাতায়াত বন্ধ রাখতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। জেলাগুলো করোনাভাইরাস ‘হটস্পট’ হওয়ায় এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ জানিয়েছে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ।
বুধবার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব ও কোভিড-১৯ বিষয়ক জাতীয় পরামর্শক কমিটির ফোকাল পয়েন্ট শামীমা নাসরীন স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবকে এই অনুরোধ জানানো হয়।
জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির ১৪তম সভার সুপারিশের কথা উল্লেখ করে চিঠিতে বলা হয়েছে, কোভিড-১৯-এর সংক্রমণ এখনো নিয়ন্ত্রণে আসেনি। এ অবস্থায় ঢাকাসহ বিভিন্ন এলাকায় অবাধ জীবনযাত্রা উদ্বেগজনক। এ পরিস্থিতিতে ঈদে এই চার জেলায় অবস্থানরত ব্যক্তিরা যেন অন্য জেলাগুলোতে যাতায়াত করতে না পারে, তা নিশ্চিত করার ব্যবস্থা নিতে হবে।
ঈদুল আজহা সামনে রেখে পশুর হাট স্থাপন করার ক্ষেত্রে জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি সুপারিশ— ঢাকা, নারয়ণগঞ্জ, গাজীপুর ও চট্টগ্রামে যেন পশুর হাট স্থাপন না করা হয়। এর বদলে এসব এলাকায় ডিজিটাল পদ্ধতিতে পশু কেনাবেচার পরামর্শ দিয়েছে কমিটি।
চিঠিতে এই চার জেলা ছাড়া বাকি জেলাগুলোর জন্য পশুর হাটের ক্ষেত্রে অনুসরণীয় সাতটি স্বাস্থ্যবিধির কথা তুলে ধরা হয়েছে। এগুলো হলো—
১. শহরের অভ্যন্তরে কোরবানির পশুর হাট না বসানো;
২. কোরবানির পশুর হাট খোলা ময়দানে বসানোর ব্যবস্থা করা, যেখানে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা এবং সংক্রমণ প্রতিরোধে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব;
৩. বয়স্ক ও অসুস্থ ব্যক্তিদের পশুর হাটে যাওয়া থেকে বিরত রাখার ব্যবস্থা নেওয়া;
৪. পশুর হাটে ঢোকার ও বের হওয়ার আলাদা রাস্তা রাখার ব্যবস্থা করা;
৫. পশুর হাটে আসা সব ব্যক্তির মাস্ক পরিধান বাধ্যতামূলক করা;
৬. কোরবানির পশু বাড়িতে জবাই না করে শহরের বাইরে সিটি করপোরেশনের নির্ধারিত স্থানে করার ব্যবস্থা করা; এবং
৭. অনলাইনে অর্ডারের মাধ্যমে বাড়ির বাইরে কোরবানি দেওয়া সম্ভব হলে তা উৎসাহিত করা।।