“ঘুষ ছাড়া কোনো কাজ হয় না সদর উপজেলায়”

নারায়ণগঞ্জ মেইল: সদর উপজেলার বক্তাবলী খেয়াঘাটের ইজারা ঘুষ না দেওয়ায় বাতিল করা হয়েছে’ – এমন অভিযোগ তুলেছেন ইজারাদার ও বিএনপি নেতা হাসান আলী। এ বিষয়ে হাসান আলী জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব ও নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগও দিয়েছেন।

এমন অভিযোগ ছাড়াও বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যন নিয়োগ দিয়ে বিশাল বাণিজ্যের অভিযোগ জোড়ালোভাবে উত্তাপিত হয়েছে সর্বত্র। আলীরটেক ইউনিয়ন পরিষদে সেই ওসমানীয় দালাল জাকির চেয়ারম্যানকে তোষামোদ করছে এই ইউএনও, কাশিপুর ইউনিয়ন পরিষদেও সেই ওসমানীয় অন্যতম দালাল ডাকাত গেসুপুত্র শামীম মেম্বরকে মোটা অংকের টাকায় অধিষ্ঠিত করেছেন আইনের মারপ্যাচে ফেলে। একই পন্থায় বক্তাবলীতে সেই কুখ্যাত ওসমান পরিবারের অন্যতম দালাল ও বৈষম্য বিরোধী অসংখ্য মামলা আসামী রশিদ মেম্বারকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দিয়ে রমরমা বাণিজ্যের জোড়ালো অভিযোগ উঠেছে এই ইউএনও মোহাম্মদ জাফর সাদিক চৌধুরী বিরুদ্ধে। 

উল্লেখিত এমন অভিযোগ ছাড়াও কোরবানীর হাটে ঘুষের ডাক বসিয়ে কে কত ঘুষ দিতে পারবেন এমন ঔধ্যত্বপূর্ণ আচরণ করে সকল হাট ইজারাদারদের কাছ থেকে ঘুষ গ্রহণ করেছেন। এক্ষেত্রে একজন গণমাধ্যমকর্মী একটি হাট ইজারা নেয়ায় তাকের  ঘুষ কান্ড থেকে মুক্তি দেন নাই এই ইউএনও মোহাম্মদ জাফর সাদিক চৌধুরী। এমন অভিযোগ জোড়ালোভাবে উত্তাপিত হচ্ছে নগরীজুড়ে। সকলের একটাই কথা “ঘুষ ছাড়া কোনো কাজ হয় না সদর উপজেলায়”।

তরে এতো অভিযোগের পর হাসান আলী তার অভিযোগে উল্লেখ করেন, সরকার কর্তৃক নির্ধারিত নিয়ম মেনে সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে ঘাট টির ইজারা লাভ করেন এবং নির্ধারিত রাজস্ব পরিশোধ করেন। চুক্তিপত্র সম্পাদনের অনুমতিপত্র উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ জাফর সাদিক চৌধুরীর কাছে হাজির হলে তিনি ৫ লাখ টাকা ঘুষ দাবি করেন। আর ওই দাবীকৃত ঘুষ না দেওয়ায় ইজারা বাতিল করে নতুনভাবে দরপত্র আহ্বান করা হয় এবং নতুন ইজারাদার নিয়োগ দেওয়া হয়।

এ বিষয়ে উচ্চ আদালতে রিট করলে, ২৪ জুন ২০২৫ তারিখে হাইকোর্ট ইজারা সংক্রান্ত ইউএনও’র সকল কার্যক্রম স্থগিত করে আদেশ দেন। কিন্তু অভিযোগ রয়েছে, ইউএনও সেই আদেশ অমান্য করে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন এবং ইজারাদারকে হয়রানি করার হুমকি দিচ্ছেন।

হাসান আলীর আরও দাবি করে বলেন, ইউএনও স্থানীয়ভাবে চাঁদাবাজীর একটি সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছেন এবং তার পৃষ্ঠপোষকতায় জনসাধারণ সেবা পেতে ভোগান্তিতে পরেছে। নিজের দম্ভ করে প্রভাব খাটিয়ে ইউএনও বলেন, ‘আমি ড. ইউনুসের লোক, কাউকে পরোয়া করি না।’

এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ইউএনও মোহাম্মদ জাফর সাদিক চৌধুরী। ইউএনও মোহাম্মদ জাফর সাদিক চৌধুরী বলেন, ‘ইজারাদার ইজারা শর্ত লঙ্ঘন করে ঘাট ভাড়া দিয়ে সাফ হিসাব করায় একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। এরপর নিয়ম মেনে ইজারা বাতিল করা হয়েছে। হাইকোর্টের আদেশ পাওয়ার আগেই নতুন ইজারা দেওয়া হয়েছে। ঘুষ দাবি সংক্রান্ত অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও বানোয়াট।’

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

নারায়ণগঞ্জ মেইলে এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।

সর্বশেষ