নারায়ণগঞ্জ মেইল: টানা চতুর্থবারের মত আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় থাকলেও এখনো দূর্ভোগ কমেনি ফতুল্লাবাসীর। নানা সমস্যায় জর্জরিত ফতুল্লাবাসী যেন উন্নয়নের ছোঁয়া পায়নি। সামান্য বৃষ্টিতেই পানিবন্দি হয়ে পড়ে ফতুল্লাবাসী। তারমধ্যে গত সোমবার ঘূর্ণিঝড় রেমালের তাণ্ডবে ফতুল্লার লাখ লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। গত তিনদিন ধরে ফতুল্লার বিভিন্ন এলাকায় কোমর সমান পানি। অথচ স্থানীয় সংসদ সদস্য শামীম ওসমান বিভিন্ন সময় নানা আশ্বাস দিলেও দূর্ভোগ কমেনি ফতুল্লাবাসীর। বুধবারও ফতুল্লায় গিয়ে বিভিন্ন আশ্বাস নিয়েছেন শামীম ওসমান। গত কয়েক মাস আগে ময়লা পানিতে নেমে ফটোসেশনও করেছিলেন তিনি।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, ফতুল্লার ইদ্রাকপুর, ফতুল্লা লালপুর, পোষা পুকুরপাড়, স্টেশন রোড, হাজিবাড়ি রোড, উকিলবাড়ি, লালখা, শিয়াচর, সস্তাপুর, রামারবাগ এলাকার বিভিন্ন সড়কে-সড়কে জমে আছে পানি। নালা থাকলেও তা ময়লা-আবর্জনায় পূর্ণ। পানি সরছে অত্যন্ত ধীরগতিতে। ঘূর্ণিঝড় রেমালের বৃষ্টিতে পুরো ফতুল্লা পানি জমে রয়েছে। হেঁটে রাস্তা পার হতে গেলে ড্রেনের ময়লা পানির বিড়ম্বনার শিকার হতে হয় বাসিন্দাদের। কারখানার শ্রমজীবী মানুষ ভোগান্তি নিয়েই নিজ কর্মস্থলে আসা-যাওয়া করেছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ফতুল্লাবাসীর এমন ভোগান্তি অব্যাহত থাকলেও সমাধান করতে পারেননি স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা। বরং প্রতিবছর ডিএনডি প্রজেক্টের কাজ চলমান বলা হয়। গত বছর বেশ ঘটা করে ফতুল্লার খাল, নালা পরিষ্কার করা হলেও এবার খুব একটা কাজে দেয়নি। বরাবরের মতো এবারও জলাবদ্ধতার শিকার হতে হয়েছে বাসিন্দাদের।
জলাবদ্ধ ফতুল্লাবাসীর তাদের দূর্ভোগের জন্যে স্থানীয় জনপ্রতিনিধির ব্যর্থতাকে দায়ি করে বলেন, বছরের পর বছর যাবত আমরা জলাবদ্ধতার সমস্যা মোকাবেলা করছি কিন্তু দায়িত্বপ্রাপ্তরা শুধু আশ্বাস দিয়ে যান কিন্তু তারা কোনো সমাধান করেন না। আমরা আর এই মিথ্যা আশ্বাসে বিশ্বাস করিনা। আমরা চাই স্থায়ী সমাধান।