নারায়ণগঞ্জ মেইল: নারায়ণগঞ্জ বিএনপি’র বহিষ্কৃত নেতা আতাউর রহমান মুকুলের মালিকানাধীন সিলভার ক্রিসেন্ট হাসপাতালে টনসিল অপারেশনে ভুল চিকিৎসায় গৃহবধুর মৃত্যুর অভিযোগ পাওয়া গেছে। রোববার (২৪ মার্চ) দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। নিহত আনিকা সদর উপজেলার ফতুল্লার নয়াবাজার এলাকার রোমান মিয়ার স্ত্রী।
এসময় নিহতের স্বজনরা হাসপাতালের ভেতরে বিক্ষোভ করে ম্যানেজারকে পুলিশের কাছে সোর্পদ করলে চিকিৎসক ও হাসপাতালের কর্তৃপক্ষ বাকিরা পালিয়ে যায়। জানা গেছে, গেল কয়েকদিন আগেও একই সার্জন ডাক্তার আব্দুল্লাহ আল মামুন এবং অজ্ঞান চিকিৎসক আনামের বিরুদ্ধে টনসিলের অপারেশনে শিশুর মৃত্যু অভিযোগ রয়েছে।
এদিকে স্বজনদের দাবি, এ ঘটনায় নিহতের লোকজন অভিযোগ করতে থানায় ঘুরাফিরা করলেও বিকাল পর্যন্ত র্সাভেয়ারের সমস্যার অজুহাত জানিয়ে তা নেয় নি পুলিশ। আর পুলিশ বলেছেন, ৫ জনকে থানায় নিয়ে গেলেও তাদের ঘটনাস্থল থেকে হেফাজতে নেয়া হয়েছে। কেউ আটক নেই। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
নিহতের বাবা আমানত উল্লাহ বলেন, আমার মেয়ের টনসিলের চিকিৎসার জন্য সিলভার ক্রিসেন্ট হসপিটালে ভর্তি করি। ভর্তির পরে নানা টেস্ট দেন চিকিৎসক আব্দুল্লাহ আল মামুন। পরে তিনি জানান, টনসিলের অপারেশন করতে হবে। অপারেশন করার জন্য ৮০ হাজার টাকা চুক্তি হয়। শনিবার (২৩ মার্চ) রাত ৯টার দিকে আমার মেয়ের অপারেশন করেন তিনি। অপারেশনের পর ডাক্তার মেয়েকে কিছু খাওয়াতে নিষেধ করেন। রাত ৩টার দিকে ব্যথায় কান্নাকাটি করতে থাকলে নার্সদের সঙ্গে কথা বলি। তখন তারা ডাক্তারের সঙ্গে কথা বলে ইনজেকশন দেয়। ১ ঘণ্টা পর আবার ব্যথা উঠলে আবার ইনজেকশন দেয়। আজ সকালে ৯টার দিকে আমার মেয়ের হাত-পা নীল হয়ে যায় এবং ব্যথায় ছটফট করতে করতে মারা যায়।
নিহতের স্বজন ও স্বামী অভিযোগ, শনিবার সন্ধ্যায় চিকিৎসক সহকারী অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আল মামুনের তত্ত্বাবধানে টনসিলের অপারেশনের জন্য ক্লিনিকে ভর্তি করানো হয় আনিকাকে। অপারেশন শেষে ভোরে তার জ্ঞান ফেরলে ব্যাথা ও শ্বাসকষ্ট হলে চিকিৎসক তাকে ইনজেকশন পুশ করার পর তার মৃত্যু হয়। মৃত্যুর খবরপেয়ে স্বজনরা এসে বিক্ষোভ করে। পরে মরদেহ রেখে ডাক্তার, নার্স সহ হাসপাতালে সবাই পালিয়ে যায়। চিকিৎসকের অবহেলায়ই মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। আমরা জানতে পেরেছি এরআগেও এমন একটি ঘটনা তারা ঘটিয়েছেন। তারা এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারে দাবি পরিবারের। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ শাহাদাত হোসেন জানান, পুলিশ সেবা ৯৯৯ এ ফোন পেয়ে এখানে ঘটনাস্থলে পুলিশ যায়। কেউ আটক নেই। যাদের আনা হয়েছে। তাদেরকে পুলিশ হেফজতে নিয়ে আনা হয়েছে। পরিবারের অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
তবে এ বিষয়ে জানতে জেলা সিভিল সার্জনকে মুঠোফোনে একাধিকবার কল দেয়া হলে তিনি রিসিভ করেননি।