নারায়ণগঞ্জ মেইল: বিশ্বব্যাপী মহামারি রূপ নেয়া করোনা ভাইরাসের কারনে গত ২৫ মার্চ থেকে সারা দেশে বন্ধ ঘোষনা করা হয়েছিলো সকল গন পরিবহন। কয়েকমাস বন্ধ থাকার পরে সীমিত আকারে তা চালু হলেও তার জন্যে যাত্রীদের গুণতে হচ্ছে ৬০% বেশী ভাড়া। সারাদেশের মতো নারায়ণগঞ্জের যাত্রীদেরও একই অবস্থা। প্রতিদিন সকালে কয়েকহাজার কর্মজীবী পাড়ি জমান ঢাকায় আবার সন্ধ্যায় ফিরে আসেন নারায়ণগঞ্জে। এই অতিরিক্ত ভাড়া গুণতে গুণতে অতিষ্ঠি হয়ে পরেছেন তারা। তাছাড়া আয়ের সাথে ব্যয়ের সামঞ্জস্য মেলাতে খাচ্ছেন হিমশিম। আর তাই দীর্ঘ পাঁচ মাস যাবত বন্ধ থাকা ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ ট্রেন সাভিৃস চালুর দাবী জানিয়েছেন তারা।
করোনার সংক্রমণ রোধে গত ২৫ মার্চ থেকে বন্ধ রয়েছে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ ট্রেন চলাচল। সে সময়ে সারা দেশের ট্রেন যোগাযোগ বন্ধ করা হলেও সীমিত আকারে বেশ কয়েকটি রুটে চালু করে দেয়া হয়েছে টেনের যাত্রা। কিন্তু এক্ষেত্রেও কপাল মন্দ নারায়ণগঞ্জের যাত্রীদের। কারন সারাদেশে বাস ভাড়া বাড়লেও কোথাও ট্রেন ভাড়া বাড়ানো হয়নি। আর তাই অতিরিক্ত ভাড়ায় ঢাকা যাতায়াতকারী যাত্রীরা ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রুটে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক করার দাবী জানিয়েছেন।
ঢাকায় একটি বেসকারী প্রতিষ্ঠানে কর্মরত জামতলা নিবাসী সুজন সেন গুপ্ত জানান, জীবন বাঁচাতে জীবিকার প্রয়োজন। আর জীবিকার তাগিদেই মানুষকে করোনার ভয় নিয়েই বাইরে বের হতে হচ্ছে। সরকার স্বাস্থ্য বিধি মেনে সকল কিছু স্বাভাবিক করার চেষ্টা করছে। আমরা যারা মধ্যবিত্ত সমাজ আছি আমাদের এই করোনায় খরচ বেড়ে গেছে কিন্তু আয় বাড়েনি। তাই অতিরিক্ত বাস ভাড়া দিয়ে প্রতিদিন ঢাকা যাতায়াত করতে করতে আমরা অতিষ্ঠ। আগে আমরা ট্রেনে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ যাতায়াত করতাম। এতে করে আমাদের অনেকটাই সাশ্রয় হতো। তাই আমরা চাই আবারো এ রুটে ট্রেন চলাচল শুরু হলে আমাদের মতো মধ্যত্তি চাকুরীজীবীরা অনেক উপকৃত হতো।
তবে খুব সহসাই ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রুটে ট্রেন চলাচলের সম্ভাবনা নেই জানিয়ে নারায়ণগঞ্জের ষ্টেশন মাষ্টার গোলাম মোস্তফা জানান, আমরা এখ নপর্যন্ত রেল মন্ত্রনালয় থেকে কোন প্রকার নির্দেশনা পাইনি। নির্দেশনা পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।