নারায়ণগঞ্জ মেইল: বর্তমানে নারায়ণগঞ্জে যে কয়েকজন উদীয়মান রাজনীতিবিদ দ্যুতি ছড়াচ্ছেন তাদের মধ্যে অন্যতম হচ্ছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট এইচএম আনোয়ার প্রধান। একাধারে তিনি নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আওতাধীন সদর থানা বিএনপিরও সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন। নারায়ণগঞ্জের রাজনীতির মাঠ এবং আদালতপাড়ায় সমানতালে ক্লিন ইমেজের রাজনীতি চর্চার মাধ্যমে তরুণ প্রজন্মের কাছে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন এই উদীয়মান রাজনীতিবিদ।
অনুসন্ধানে জানা যায়, বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী অ্যাডভোকেট এইচএম আনোয়ার প্রধানের রাজনৈতিক পথচলা শুরু ১৯৯৩ সালে ছাত্রদলের রাজনীতির মাধ্যমে। প্রথমে নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য এবং পরবর্তীতে জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়কের দায়িত্ব পালন করেন তিনি। এরপর জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক হন এবং চৌকস রাজনীতির মাধ্যমে সকলের নজর কাড়েন।
রাজনৈতিক পথচলায় নারায়ণগঞ্জ জেলা মৎস্যজীবী দলের সভাপতির দায়িত্ব পান অ্যাডভোকেট আনোয়ার প্রধান। দায়িত্ব পেয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলার প্রতিটি থানা এবং ওয়ার্ডে নিজস্ব কর্মী বাহিনী তৈরি করেন এবং তৎকালীন সময়ে সরকার বিরোধী আন্দোলন সংগ্রামের কর্মসূচিগুলোতে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন।
২০২২ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির ৪১ সদস্য বিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়। এই কমিটিতে আহবায়ক সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পান আনোয়ার প্রধান। ২০২৩ সালের ১২ জুন দ্বি বার্ষিক সম্মেলনের মাধ্যমে নারায়ণগঞ্জ সদর থানা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন এই তরুণ রাজনীতিবিদ।
বিগত ১৬ বছর স্বৈরাচারী হাসিনা সরকারের জুলুম নির্যাতনের বিরুদ্ধে রাজপথের আন্দোলন সংগ্রামে নারায়ণগঞ্জের যে কয়েকজন নেতা বলিষ্ঠ ভূমিকা রেখেছেন তাদের মধ্যে অন্যতম হলেন আনোয়ার প্রধান। পুলিশের হামলা মামলাকে উপেক্ষা করে সরকার বিরোধী কর্মসূচি গুলোতে রাজপথে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন তিনি। এজন্য অসংখ্য মামলার আসামি হয়েছেন, জেল খেটেছেন একাধিকবার তবুও রাজপথ ছেড়ে যাননি।
রাজনৈতিক মাঠের পাশাপাশি নারায়ণগঞ্জের আইনাঙ্গনেও পরিচিত মুখ অ্যাডভোকেট আনোয়ার প্রধান। বিএনপির আইনজীবীদের সংগঠন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখার একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। স্বৈরাচারী সরকারের আমলে নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে যখন কেউ প্রার্থী হতে চাইতো না তখন বুক চিতিয়ে লড়াই করেছেন এই আইনজীবী নেতা। এজন্য নারায়ণগঞ্জ আদালত পাড়ায় একাধিকবার লাঞ্ছিত হয়েছেন। আওয়ামী সন্ত্রাসীরা নির্বাচনের দিন তাকে উঠিয়ে নিয়ে গিয়েছিলো, গুম করতে চেয়েছিলো তবুও কোনো কিছুর পরোয়া না করে আইনজীবীদের স্বার্থ রক্ষায় লড়াই চালিয়ে গেছেন। এর ফলস্বরূপ নারায়ণগঞ্জের আইনজীবীরা ২০২৪-২৫ সালের নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় তাকে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করে। এরপর থেকে এখন পর্যন্ত সিনিয়র জুনিয়র সকল আইনজীবীদের কাছে সমান জনপ্রিয়তা ধরে রেখে এগিয়ে চলেছেন তিনি। তার এই অগ্রযাত্রায় তরুণ প্রজন্ম নতুন দিনের স্বপ্ন বুনতে শুরু করেছে।