কাশীপুর ইউনিয়ন বিএনপির মামলা বাণিজ্যের তথ্য ফাঁস

নারায়ণগঞ্জ মেইল: গত ৫ আগস্ট আওয়ামীলীগ সরকার পতনের পর ফতুল্লা থানাধীন কাশীপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মঈনুল হোসেন রতন ও সাধারণ সম্পাদ আরিফ মন্ডলের ঘাট-হাট দখল, জমি দখল ও মামলা বাণিজ্যের অভিযোগ থাকলেও এবার মামলা বাণিজ্যের তথ্য ফাঁস হয়েছে। এনিয়ে ইউনিয়ন বিএনপির নেতাদের মধ্যে বিভাজন সৃষ্টি হয়েছে। কাশীপুরের আওয়মীলীগ নেতাদের টাকার বিনিময়ে আশ্রয়প্রশ্রয় দেয়ার অভিযোগ রয়েছে। সর্বশেষ ফতুল্লা মডেল থানায় একটি মামলায় বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে।


জানাগেছে, কাশীপুরের ভোলাইলে আজমেরী ওসমানের অনুসারীদের মিছিল থেকে সন্ত্রাসী কার্যক্রমের মাধ্যমে সড়ক ও নির্মাণাধীন ফ্ল্যাইওভারের কাজে বিঘ্ন ঘটনো এবং ক্ষতিগ্রস্থ করার চেষ্টার অভিযোগে পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করেছে। ফতুল্লা মডেল থানায় দায়ের করা এ মামলায় ৩২ জনকে আসামি করা হয়েছে। এই মামলা নিয়ে বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে রতন ও আরিফের বিরুদ্ধে। তাদের সহযোগী হিসেবে কাজ করেছেন ১নং ওয়ার্ড বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সানি সিকদার।


মামলার ১নং আসামী সাখাওয়াত হোসেন বাবুর সাথে অস্থায়ী পশুর হাট ইস্যুতে কাশীপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মঈনুল হোসেন রতন ও সাধারণ সম্পাদ আরিফ মন্ডলের সাথে বিরোধ হয়। বাবু আলাদা হাট করলে রতন ও আরিফ চাঁদা দাবী করে। চাঁদা না দিলে মামলার দেয়ার হুমকি দেয়। মামলায় নাম আসবে না এমন আশা দিয়ে বেশ কয়েকজনের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা নেয়া হয়।


অপরদিকে মামলার ৩২ নং আমাসী করা হয় রাতুল শেখ নামে একজনকে। রাতুল শেখ কাশীপুরের আলোচিত একজন স্বেচ্ছাসেবী। করোনা পরিস্থিতিতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সাধারণ মানুষের সেবা করেছেন। সামাজিক ও সেবামূলক সংগঠন ‘আলোকিত কাশীপুর’ সক্রিয় সদস্য রাতুল জুলাইয়ের আন্দোলনে রাজপথে ছিলেন। এছাড়াও ইট-বালু ব্যবসায়ী, চাকুরীজীবীসহ নিরীহ অনেক ব্যক্তিকে আসামি করা হয়।


এব্যাপারে সাখাওয়াত হোসেন বাবু জানান, আমি কখনোই রাজনীতির সাথে জড়িত না। ইউনিয়ন বিএনপির নেতারা আমাকে প্রস্তাব দিয়েছিল এক সাথে হাট করার জন্য। এক সাথে করবো তা জানিয়ে দিলে তারা আমার কাছে পশুর হাটের ৫ লক্ষ টাকার শেয়ার দাবী করেন, নয়তো মামলা দিয়ে দিবে বলেন। টাকা না দেয়ায় আমার বিরুদ্ধে দেখলাম মামলা হয়েছে। যে মামলায় আমাকে আসামি করা হয়েছে সেই সময আমি সিরাজগঞ্জ ছিলাম।


শেখ রাতুল জানান, আমি একজন স্বেচ্ছাসেবী। কোন সময় রাজনীতির সাথে জড়িত না থাকলেও জুলাই আন্দোলনে আমি ঢাকার রাজপথে বন্দুকের গুলির সামনে দাঁড়িয়ে আন্দোলন করেছি। আজ আমাকেই আসামি করা হয়।


এব্যাপারে ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শরীফুল ইসলাম জানান, মামলা বাণিজ্যের বিষয়টি আমার জানা নেই। তাহলে আসামিদের নাম কে দিলো এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, আমরা যে চারজনকে গ্রেফতার করেছি তারা কিছু নাম বলেছে। আর স্থানীয়দের মাধ্যমে কিছু নাম নিয়েছি।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

নারায়ণগঞ্জ মেইলে এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।

সর্বশেষ